আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকার দেশ মালাউইয়ে ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডির আঘাতে এখন পর্যন্ত ২০০ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। সরকার হাজার হাজার অসহায় মানুষের জন্য সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন : সহজ শর্তে ঋণ অব্যাহত রাখার আহ্বান
দেশটির দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, এবারের ঘূর্ণিঝড়ে ২০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ে মালাউইয়ের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা বিকল হয়ে দেশের বেশিরভাগ অংশে দীর্ঘস্থায়ী ব্ল্যাকআউট হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডির আঘাতে নিহত ১১০
বেলচা ব্যবহার করেও কাদায় চাপা পড়ে থাকা জীবিতদের খুঁজে বের করতে হিমশিম খাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। এছাড়া রাস্তা ও সেতু ভেঙে পড়ায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। ভারি বৃষ্টি ও প্রবল বাতাসের কারণে উদ্ধার কাজের জন্য হেলিকপ্টারও ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
মালাউই পুলিশের মুখপাত্র পিটার কালায়া বলেন, নদীগুলোর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। ভেসে যাচ্ছে ঘরবাড়ি, জীব-জন্তুসহ সরঞ্জামাদি। ভবনও ধসে পড়ছে।
আরও পড়ুন : প্রাণহানিতে শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র
মেডিক্যাল দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস জানান, হাসপাতালে প্রায় ৪০ জনেরও বেশি শিশুকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।
দেশটির ত্রাণ জানিয়েছে, সংস্থাগুলো ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়া এলাকাগুলোতে কলেরার প্রাদুর্ভাব বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন : টাইগারদের রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর অভিন...
এ অবস্থায় মালাউই সরকার ১০টি জেলায় দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতির ঘোষণা দিয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডির কারণে প্রতিবেশী দেশ মোজাম্বিকেও মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে।
আরও পড়ুন : রোজায় পণ্যের দাম বাড়ালে ব্যবস্থা
বিশেষজ্ঞরা জানান, জলবায়ু পরিবর্তন গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড়কে আরও তীব্র করে তুলছে।
জাতিসংঘের আবহাওয়া বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডি উত্তর-পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া থেকে উৎপত্তি হয়েছে। এটি রেকর্ডের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় বলে মনে করা হচ্ছে। এই ঝড় সমগ্র দক্ষিণ ভারত মহাসাগর অতিক্রম করে, ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে মাদাগাস্কারে তাণ্ডব চালায়।
সান নিউজ/এনজে