বিনোদন ডেস্ক : ঢাকাই সিনেমার অগ্নি খ্যাত সময়ের আলোচিত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি ফেসবুকে জীবনমুখি কথা পোস্ট করেছেন।
আরও পড়ুন : বেডরুমের কথা আর বাইরে নয়
চিত্রনায়িকা মাহি বলেন, টুকটুক করে তো অর্ধেক জীবন পার হয়েই গেলো। বিচ্ছেদের এই শহরে আমরা রয়ে যাব আমৃত্যু।
সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা মাহিয়া মাহি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যথেষ্ট সক্রিয়। নিয়মিত বিভিন্ন লেখা-ছবি পোস্ট করে ভক্তদেরও সময় দিয়ে থাকেন। অভিনয়ের পাশাপাশি বর্তমানে তিনি ব্যবসা এবং রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ততার মাঝে রয়েছেন।
আরও পড়ুন : ঐন্দ্রিলার মা ক্যানসারে আক্রান্ত!

শনিবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মাহির একটি পোস্ট ছুঁয়ে গেছে তার ভক্ত-শুভাকাঙক্ষীদের হৃদয়।
মাহিয়া মাহি পোস্টে লিখেন, খুব বেশি ভালোবাসা চাই না। শুধু আমার ঘুম না আসা পর্যন্ত আমাকে সঙ্গ দিও। মন খারাপের বিকেলগুলোতে গল্পের ছলে পাশে থেকো। খুব বেশি ভালো না বাসলেও চলবে। শুধু আমার রাগ ভাঙানোর কৌশলটা গোপনে আয়ত্ত করে নিও।
আরও পড়ুন : ভুল বুঝে ফিরলেন পরীমনি
চিত্রনায়িকা আরও বলেন, টুকটুক করে তো অর্ধেক জীবন পার হয়েই গেলো। বাকি কয়েকটা বছর যখন আমার চামড়া কুঁচকে যাবে সেদিন পর্যন্ত না হয় আমার হাতটা ধরে রেখো। বিচ্ছেদের এই শহরে আমরা রয়ে যাব আমৃত্যু।
সম্প্রতি চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পেয়েছেন। আগামী দুই বছরের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন এ নায়িকা।
আরও পড়ুন : আজ ভোরে মা চলে গেলেন
জনপ্রিয় এই নেত্রী রাজশাহী বিভাগের আহ্বায়কেরও দায়িত্ব পেয়েছেন। তাই দলের হয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বর্তমানে তিনি নেত্রী হিসেবে নিজ এলাকায় সর্বস্তরের জনগণের ব্যাপক প্রশংসাও কুড়িয়েছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২ আসনে আসন্ন উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত ২৯ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) শারমিন আক্তার নিপা (মাহিয়া) নামে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
আরও পড়ুন : অপ্রত্যাশিত অনেক কিছুই পেয়েছি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ বিষয়ে বলেছিলেন, মাহি নিজেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত। তিনি আওয়ামী লীগ করেন। এ কারণে তাকে মনোনয়ন ফরম কেনার জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তে মাহিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। তবে তিনি পরবর্তিতে এই আসন থেকে সংসদ সদস্য হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী। পাশাপাশি তিনি দলের হয়ে নিয়মিত জনগণের পাশে থাকতে চান।
আরও পড়ুন : বেশরম বিতর্ক, আটকে গেল পাঠান!
১৯৯৩ সালের ২৭ অক্টোবর রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালায় নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন মাহিয়া মাহি। তার পৈতৃক নিবাস চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলা।
মাহির পারিবারিক নাম শারমিন আক্তার নিপা। তার পিতার নাম আবু বকর এবং মাতার নাম দিলারা ইয়াসমিন।
আরও পড়ুন : দীপিকার পিছু ছাড়ছে না বিতর্ক
রাজধানী ঢাকার উত্তরা হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক ও ঢাকা সিটি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজিতে ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের উপর পড়াশুনা করছেন।
২০১৬ সালে পারভেজ মাহমুদ অপুর সঙ্গে পরিনয়সূত্রে আবদ্ধ হন এ অভিনেত্রী। তাদের বিচ্ছেদ ঘটে ২০২১ সালের জুন মাসে।
আরও পড়ুন : দেশ ছাড়লেন বিতর্কিত দীপিকা
গাজীপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রাকিব সরকারের সাথে বর্তমানে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ আছেন মাহিয়া মাহি। ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তারা বিয়ে করেন।
মক্কায় গিয়ে স্বামী রাকিব সরকারের সাথে ওমরাহ হজ পালন করে এসেছেন এ নায়িকা। তাদের ঘর আলোকিত করে এসেছে নতুন অতিথি।
আরও পড়ুন : আদালতে 'বেশরম রং'
মাহিয়া মাহির স্বামী গাজীপুরের আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সদস্য। মূলত স্বামীর মাধ্যমে রাজনীতিতে পা রেখেছেন এই অভিনেত্রী।
সান নিউজ/এইচএন
 
                                     
                                 
                                         
                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                     
                            