কাবিননামায় যে অর্থ চাওয়া হয়, সেটা ব্ল্যাকমেইলিং
বিনোদন

কাবিননামায় যে অর্থ চাওয়া হয়, সেটা ব্ল্যাকমেইলিং

বিনোদন ডেস্ক : সম্প্রতি মহা ধুমধাম আয়োজনে বড় ছেলে শাফকাত আসিফ রণ’র বিয়ে সম্পন্ন করেছেন বাংলা গানের যুবরাজ আসিফ আকবর।

আরও পড়ুন : ব্রিটেনের নতুন অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্ট

১৯৯২ সালের ১০ জুলাই মাত্র ১৯ বছর বয়সে সালমা আসিফ মিতুর সঙ্গে ভালোবেসে ঘর বাঁধেন জনপ্রিয় এ কণ্ঠশিল্পী ।

আসিফ আকবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সরব। সমাজের বিভিন্ন ইস্যুতে নিজস্ব মনোভাব তুলে ধরেন। এমনকি নিজের ব্যক্তি জীবনের নানা দর্শনও অনুরাগীদের সঙ্গে শেয়ার করেন তিনি।

এরই ধারাবাহিকতায় এবার মুসলিম বিবাহের কাবিননামায় দাবিকৃত অর্থের প্রসঙ্গে নিজের মনোভাব প্রকাশ করেছেন।

আরও পড়ুন : ডেঙ্গুতে আরও ৬ জনের মৃত্যু

কণ্ঠশিল্পী আসিফের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো :

নিজের যৌবনের জাগরণ উঠেছে আমার ছেলের বিয়ে উপলক্ষে। প্রশ্নও এসেছে ইয়াং জেনারেশনের পক্ষ থেকে। আমাদের সামাজিকতায় এমনিতেই নানান প্রতিবন্ধকতা। প্রথম প্রশ্ন থাকে, ছেলে ইনকাম করে কি না! ফ্যামিলি স্ট্যাটাসও একটা ফ্যাক্টর। যে মেয়েটা প্রাপ্তবয়স্ক তার মতামতও জড়িয়ে থাকে সেম ফালতু প্রশ্নে। সমাজের অপ্রয়োজনীয় হিসাবে জীবন চলে এখানে। শরীয়ত মোতাবেক বিয়ের পদ্ধতি আদৌ মানা হয় কি না জানি না। তবে কাবিননামার ক্যারিকেচারে উসুলের প্রেশারটা পাত্র নামের বিবাহ উন্মুখ ছেলেটাকে হতাশ করবেই। জিতে যেতে পারলে মঙ্গল। সমস্যা হলো সবাই জিততে পারে না।

কাবিননামার সময় সিকিউরিটি বাবদ যে অর্থ ইদানিং চাওয়া হয় সেটা এক ধরনের ব্ল্যাকমেইলিং। একটা বিয়ের যোগ্য যুবক এই প্রেশারে পুরুষ হওয়ার আগেই বৃদ্ধ হয়ে যায়। ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য ভবিষ্যত নিরাপত্তার প্রশ্ন ওঠা অবশ্যই কিছুটা অবান্তর। বিয়ে মানেই একটা অনন্ত জীবনের হিসাব। সেখানে শর্ত আসলে তো বন্ধনের আসল সংযোগ পিছিয়ে যাবে। এটা অন্যায়। রাষ্ট্রের উচিত ম্যারেজ লোনটাকে সরল সুদের কিস্তিতে ফেলে দেওয়া। নিশ্চিত করতে হবে সংসার করার অধিকার। আরও একটা ঝামেলা আছে নারী নির্যাতন টাইটেলে। কোনো কারণে ঝামেলা হলেই ছেলেটাকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার লাইন আদালত পর্যন্ত প্রায়ই যায়, জামিনবিহীন ভয়ংকর মামলা।

আরও পড়ুন : হামলাকারীরা কেউ রিকশাচালক নয়

অপরাধ বিবেচনায় প্রমাণের আগেই একটা ছেলে অসহায় হয়ে পড়ে। সব ছেলে ফেরেশতা হবে না, এটা মেয়েদের ক্ষেত্রেও একই। সমাজের অসম চোখ রাঙানোকে উপেক্ষা করতে হবেই। এত শর্তের বেড়াজালে দীর্ঘ বৈবাহিক জীবন মেইনটেইন করা প্রতিটি পুরুষের জন্য এক ধরনের মানসিক টর্চার।ভরণপোষণ কিংবা মেয়েদের লাইফের সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে গিয়ে এদেশে আসলে পুরুষ নির্যাতনের অটো শাস্তিযজ্ঞ চলছে।

নারী পুরুষের সাংসারিক সমঝোতা জরুরি। বিয়ে করতে চাওয়া ছেলেটাকে বাংলাদেশের সংবিধান না বুঝিয়ে স্বস্তি দেওয়া প্রয়োজন। কিছু বাই ডিফল্ট পুরুষ ছাড়া সবাই সংসার করে, বাবা হতে চায়। মন নরম করুন, অনাগত সুন্দর জীবন নামের ফুলগুলো ফুটতে দিন। আমি শিওর, বিয়ের মাধ্যমে শ্বাশত সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। লেনদেন শুধু ঝামেলাই সৃষ্টি করে, অনন্ত ভালোবাসার জায়গায় হিসেব-নিকেশ ঢুকে যায়। চাপ সৃষ্টি আর নয়, ভালোবাসা খুঁজুন। আমার পরিবারের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক বেগম সালমা আসিফ নিজেই একজন অনন্য উদাহরণ। যিনি আমার সারা জীবনের হিস্যা, তার সঙ্গে লেনদেন বড্ড বেমানান। ভালোবাসা অবিরাম।

সান নিউজ/এইচএন

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ভোলায় ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালিত 

ভোলা প্রতিনিধি: তীব্র তাপদাহ থেকে...

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর গণসংযোগ

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:

বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস আজ

সান নিউজ ডেস্ক: আজ বিশ্ব ম্যালেরি...

টঙ্গীবাড়ি ভাতিজারা পিটিয়ে মারলো চাচাকে

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:

গরমে ত্বক ব্রণমুক্ত রাখতে যা খাবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক: গরমকাল এলেই ব্র...

মাকে গলা কেটে হত্যা করল ছেলে

জেলা প্রতিনিধি: বিয়ে না দেওয়ায় চা...

পঞ্চগড়ে দুই শিশুর মৃত্যু

জেলা প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ে চাওয়াই নদীতে গোসল করতে নেমে আলমি আক্...

চারতলা থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

খায়রুল খন্দকার টাঙ্গাইল : টাঙ্গাই...

শনিবার ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না 

নিজস্ব প্রতিবেদক: পাইপলাইনের কাজে...

ভারতীয় ৩ কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্র স...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা