বিনোদন ডেস্ক : বিগত কয়েক বছর আগে কাস্টিং কাউচের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ উঠেছিলো। বহু অভিযোগ উঠে এসেছিল প্রকাশ্যে। ভারতের বিনোদন জগতেও ঝড় তুলেছিল হ্যাশট্যাগ মিটু শীর্ষক সেই মুভমেন্ট ।
আরও পড়ুন : পুতিন ক্ষমতায় থাকতে পারেন না
এখনো মাঝেমধ্যে বিভিন্ন অভিনেত্রীদের সঙ্গে পর্দার আড়ালে বা প্রকাশ্যে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনাগুলো উঠে আসে। প্রতিবাদও হয়।
কলকাতার জনপ্রিয় আবেদনময়ী অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা মিত্র এবার নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানালেন। পরিচালক-প্রযোজকের লালসার শিকার হয়েছিলেন তিনিও। তাই বাধ্য হয়ে কাজ ছেড়ে অভিনয় থেকেই দূরে সরে যান।
অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা মিত্র বাংলা সিরিয়াল ‘ছদ্মবেশী’ তে অভিনয়ের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেন। সেখানেই তিনি হেনস্তার শিকার হন।
আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীকে পুতিনের অভিনন্দন বার্তা
এক সাক্ষাৎকারে এ অভিনেত্রী বলেন, সহ-অভিনেতাদের কারও সঙ্গে কোনও সমস্যা হয়নি। বরং আমায় উত্ত্যক্ত করেছিলেন পরিচালক-প্রযোজকরা। সমানে ফোনে বাজে বাজে মেসেজ আসত। আমাকে শুটিং সেটে সাংঘাতিক হেনস্তা করা হচ্ছিল সেসব প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায়। ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে কাটাতাম। বাড়ি ফিরে এসে কাঁদতাম। এসবের জন্যই সরে যেতে হয়েছিল ওই ধারাবাহিক থেকে।
আরও পড়ুন : ইউক্রেনের স্লাভুতিচ রাশিয়ার দখলে
প্রিয়াঙ্কা পরবর্তীতে টানা ২ বছর আর কাজ করেননি। তবে কাজ ছেড়ে আসার পর ওই পরিচালক, প্রযোজক নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছিলেন। সেজন্য অভিনেত্রীকে মেসেজ করে ক্ষমাও চেয়েছেন বলে জানান তিনি।
বিরতি দিয়ে দুই বছর পর সিরিয়ালে ফেরেন প্রিয়াঙ্কা। ‘খড়কুটো’ নাটকের চিনি কিংবা ‘মোহর’ নাটকের দিয়া চরিত্রে দর্শকদের মুগ্ধ করে যাচ্ছেন তিনি। যদিও এগুলো পার্শ্ব চরিত্র, তবু আক্ষেপ নেই তার।
আরও পড়ুন : পুরুষ ছাড়া ওমরাহ করতে পারবে সৌদি নারীরা
এ বিষয়ে প্রিয়াঙ্কা বলেন, খারাপ লাগবে কেন? চরিত্রগুলো তো গুরুত্বপূর্ণ! আগামীতে আবার নিশ্চয়ই মুখ্য চরিত্র পাব। ২ বছর পরে ফিরে এসে বোনের চরিত্র খারাপ কী?
আরও পড়ুন : ভাইরাল শাহরুখকন্যা
প্রিয়াঙ্কা মিত্র এখন আর কাস্টিং কাউচ বা হেনস্তার ভয় পান না। অভিনেত্রীর ভাষ্য, এখন সবটা পাল্টে গেছে। ওই অভিজ্ঞতাটা মানসিকভাবে আমায় অনেকটা শক্ত করেছে। এখন আর কাউকে ভয় পাই না, কাঁদিও না। স্পষ্ট কথা স্পষ্ট করে বলি।
সান নিউজে/এইচএন