নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষকদের যে আন্দোলন চলছে, তার পেছনে অবশ্যই উসকানি আছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
মন্ত্রী বলেন, আন্দোলনের পেছনে অবশ্যই উসকানি আছে। যারা জনগণকে সম্পৃক্ত করে কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারছে না তারা একেক সময় একেক দল, গোষ্ঠীর ওপর সওয়ার হচ্ছে। শিক্ষক আন্দোলনের ওপর সওয়ার হয়েও আন্দোলনকে একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা তাদের থাকতেই পারে।
আরও পড়ুন : শিক্ষার্থীদের আনন্দচিত্তে শিখতে দিন
সোমবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় আহছানুল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতীয়করণের সঙ্গে বড় আর্থিক সংশ্লেষ রয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকদের অনেকেই আন্দোলন থেকে চলে গেছেন। কিন্তু যারা আছেন তারা আরো কিছুদিন বসে থেকে তারপর হয়তো যাবেন। শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে শিক্ষকদের এমন কর্মসূচি পালন একেবারে সঠিক নয়। আমি আশা করব, যেহেতু আলোচনা হয়েছে এবং আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি তারা যেন ক্লাসে ফিরে যান।
আরও পড়ুন : ৫২৯ কর্মকর্তাকে বিশেষ পদোন্নতি
তিনি আরো বলেন, জাতীয়করণের বিষয়টি শিক্ষকদের কাছেই স্পষ্ট নয়। কারণ কর্ম কমিশনের মাধ্যমে সরকারি কলেজ ও স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ হয়। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে যারা নিয়োগ পান, তাদের একসঙ্গে করতে হলে কোনো পদ্ধতিতে করা হবে? আদৌ করা যাবে কি না, সেটি নিয়েও জটিল প্রশ্ন রয়েছে। কাজেই এটি হঠাৎ করে আন্দোলন করে আদায় করার বিষয় নয়।
দীপু মনি বলেন, আমাদের দেশে নির্বাচন এলেই কিছু মানুষ মনে করে এটা আন্দোলনের মৌসুম। কোনটি তাৎক্ষণিকভাবে করা সম্ভব, এটি কিন্তু আন্দোলনকারীদের বুঝতে হবে। আমাদের গণতন্ত্রের অনেকগুলো বছর পেরিয়ে গেল। তাই আমাদেরও বিষয়গুলো বুঝতে হবে।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশে নির্বাচন পরিস্থিতি ভালো
তিনি বলেন, আন্দোলনে অবশ্যই উসকানি আছে। যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য নানা রকম অপকর্ম করেছে, যারা জনগণকে সম্পৃক্ত করে কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারছে না তারা একেক সময় একেক দল, গোষ্ঠীর ওপর সওয়ার হচ্ছে। শিক্ষক আন্দোলনের ওপর সওয়ার হয়েও আন্দোলনকে একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা তাদের থাকতেই পারে। আপনারা এমন কোনো ফাঁদে পা দেবেন না।
জাতীয়করণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে দুটি কমিটি করা হয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এ দুটি কমিটি দ্রুত প্রতিবেদন দেবে। প্রতিবেদন অনুযায়ী সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। আমি আশা করবো- সব শিক্ষক দ্রুত শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাবেন।
সান নিউজ/জেএইচ