এস এম জহিরুল ইসলাম, গাজীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার দুই শিক্ষা কর্মকর্তার অপরাধ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দরা। গত (১৫ জুন) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর এ অভিযোগ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: হাত দিয়ে নাট-বল্টু খোলা সম্ভব নয়
শ্রীপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার নূর মোহাম্মদ ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সিকদার হারুন অর রশিদের নামে এ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। শ্রীপুর উপজেলার প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক সমিতির ৭ জন শিক্ষকের যৌথ স্বাক্ষর দেয়া অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে সরকারের দেয়া স্লীপ বরাদ্দের প্রথম ধাপের কাজ না করেই ওই দুই কর্মকর্তা কতিপয় প্রধান শিক্ষকদের সাথে যোগসাজশে ভূয়া ভাউচারে বিদ্যালয়ের একাউন্টে টাকা হস্তান্তর করে দিয়েছে। যা নিয়মবহির্ভূত। স্লীপ বরাদ্দের টাকা দিয়ে দুটি শ্রেণীকক্ষ সুসজ্জিত করণ ও পকেট বোর্ড কেনার কথা থাকলেও ৪মাস অতিবাহিত হবার পরও অধিকাংশ স্কুলে কাজ করা হয়নি। এ কাজ গুলো না করেই ওই দুই কর্মকর্তার যোগসাজশে ভাউচার অফিসে জমা রাখা হয়েছে।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, গত মার্চ মাসে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুক্তি মেলা ২০২২ উপলক্ষে মেলার খরচ হিসেবে ওই দুই কর্মকর্তা উপজেলার ১৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিটি থেকে এক হাজার টাকা করে উত্তোলন করেন। এবিষয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলে কিছু টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয় তারা। এছাড়াও সিকদার হারুন-অর-রশিদ এর নামে তাদের নিজ কর্মস্থল শ্রীপুরে জমি কেনারও অভিযোগ করেন তারা।
শ্রীপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার নূর মোহাম্মদ জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ হয়েছে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।
গাজীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোফাজ্জল হোসেন জানান, স্লীপের টাকা আত্মসাতের কোন সুযোগ নেই, কাজ না করে ভাউচার দিয়ে যদি টাকা উত্তোলন করা হয় তবে সেটা অনিয়ম। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সান নিউজ/এনকে