৪ পুলিশসহ সাত আসামি জিজ্ঞাসাবাদে র‌্যাব হেফাজতে 
অপরাধ

৪ পুলিশসহ সাত আসামি জিজ্ঞাসাবাদে র‌্যাব হেফাজতে 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় চার পুলিশ সদস্যসহ সাতজনকে রিমান্ডে নেয়ার জন্য র‌্যাব কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১৪ আগস্ট) সকালে তাদের কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে র‌্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

গত বুধবার কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ এই আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।

এই সাতজন হলেন উপপরিদর্শক (এসআই) লিটন, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুন এবং সিনহা হত্যা মামলায় পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়ার নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দীন ও মোহাম্মদ আইয়াস।

এর আগে চার পুলিশ সদস্যকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। সেই জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বুধবার দ্বিতীয় দফায় তাদের ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছিল র‌্যাব। আদালত এই চার পুলিশ সদস্যকে সাত দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।

গত ৩ জুলাই সিনহার সঙ্গে শিপ্রা দেবনাথ, সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও তাসকিন কক্সবাজার যান ভ্রমণবিষয়ক ভিডিওচিত্র ধারণ করতে। গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিষবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা।

ঘটনার পর কক্সবাজার পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, রাশেদ তার পরিচয় দিয়ে ‘তল্লাশিতে বাধা দেন’। পরে ‘পিস্তল বের করলে’ চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ তাকে গুলি করে। তবে পুলিশের এমন ভাষ্য নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন ওঠে।

পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি মামলা হয়। একটি মামলায় হয় টেকনাফ থানায়। এই মামলায় সরকারি কাজে বাধা ও গুলিতে নিহত হওয়ার অভিযোগ আনা হয়। সেই মামলার আসামি করা হয় সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাতকে। আর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রামু থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় আসামি করা হয় তাদের আরেক সঙ্গী শিপ্রা দেবনাথকে। পরে পুলিশ সিফাত ও শিপ্রাকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। দুজনই বর্তমানে জামিনে মুক্ত।

সিনহা নিহতের ঘটনার ৫ দিন পর তার বড় বোন বাদী হয়ে একই আদালতে টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, থানার এসআই নন্দলাল রক্ষিতসহ নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পরের দিন বিকালে ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকত, এসআই নন্দলাল রক্ষিতসহ সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। একই আদালত র‌্যাবের পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকত ও এসআই নন্দলাল রক্ষিতকে সাত দিনের রিমান্ড এবং অপর চার আসামি কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন ও এসআই লিটনকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। অপর দুই আসামি এসআই টুটুল ও মো. মোস্তফা আদালতে হাজির হননি। এই নামে জেলা পুলিশে কেউ নেই বলে দাবি করে পুলিশ।

সান নিউজ/ আরএইচ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

চাকরি ছাড়লেন চার এএসপি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ৪০তম বিসিএস পু...

প্রেসক্লাবের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ উদ্বোধন

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার মিরপুর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ব...

পৃথক ঘটনায় নিহত ২

জেলা প্রতিনিধি: চাঁদপুরের পুরান বাজার কৃষি ব্যাংক থেকে রাশেদ...

এমপি আনার হত্যায় ৩ বাংলাদেশি আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের পশ্চিমবঙ্গে চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিহত...

বাংলাদেশ সফর করায় কাতারের আমিরকে কমিউনিটির শুভেচ্ছা

আমিনুল হক কাজল, কাতার প্রতিনিধি : কাতারের মাননীয় আমির শেখ তা...

ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্ট...

রিজার্ভ নিয়ে চিন্তা নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক : সব দেশের মতো বাংলাদেশেও মুদ্রাস্ফীতি হচ্ছ...

আমি আন্তর্জাতিক তারকা

বিনোদন ডেস্ক : ঢাকাই সিনেমার আলোচিত অভিনেতা জায়েদ খান। সম্প...

বড়াইগ্রামে দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা

নাটোর প্রতিনিধি: বড়াইগ্রামের বনপাড়া বাজারের বনফুল সুইটসের মা...

কেএনএফের ২ সদস্য নিহত

জেলা প্রতিনিধি : বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযা...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা