নিজস্ব প্রতিবেদক: মাদক আইনের মামলায় কারাগারে থাকা চিত্রনায়িকা পরীমনির জামিন আবেদনের শুনানি বুধবার (১৮ আগস্ট)। রোববার (১৬ আগস্ট) ঢাকার মুখ্যমহানগর হাকিম রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালত এই দিন ঠিক করেন।
পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে গত ৪ আগস্ট মাদকদ্রব্যসহ আটক করে র্যাব। পরদিন তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় একটি মাদক মামলা করা হয়। এই মামলায় তাকে চারদিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। ওই রিমান্ড শেষে আদালতে তোলা হলে পরীমনিকে আবার দুই দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। দুই দফা রিমান্ড শেষে গত শুক্রবার তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালতে প্রতিবারই জামিনের আবেদন করেন পরীমনির আইনজীবীরা। কিন্তু বিচারক তা নাকচ করে দেন।
আদালত পরীমনিকে ডিভিশন দেওয়ার আদেশ দিলেও এ বিষয়ে কাগজপত্র হাতে না পাওয়ায় তাকে সাধারণ বন্দিদের মতোই রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষ।
পরীমনির মুক্তির পথ জানালেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা
পরীমনির মুক্তির পথ কী হতে পারে, তা জানালেন ঢাকার জ্যেষ্ঠ কয়েকজন আইনজীবী। তারা বলেন, আবারও ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টেই চিত্রনায়িকা পরীমনি জামিন আবেদন করতে পারবেন। মহানগর দায়রা জজ আদালতেও জামিন চাওয়া যাবে। এখান থেকে জামিন না পেলে যেতে হবে হাইকোর্টে। হাইকোর্টও যদি জামিন না দেন, তবে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগেও যেতে পারবেন নায়িকা।
এ বিষয়ে পরীমনির আইনজীবীরা বলেন, জামিন দেওয়ার ক্ষমতা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের রয়েছে। তাই আমরা আবারও ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টেই জামিনের আবেদন করবো। তবে আমরা ক্লায়েন্টের সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেবো।
শনিবার শুনানির শুরুতে আইনজীবীরা এজলাসে পরীমনির উপস্থিতিতে শুনানি করার আবেদন করেন। কিন্তু আদালত তাদের এ আবেদন নামঞ্জুর করেন। এরপর পরীমনির আইনজীবী মজিবুর রহমান আদালতকে বলেন, পরীমনি তো মার্ডার মামলার আসামি নন। তিনি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলারও আসামি নন। যেকোন শর্তে তাকে জামিন দেওয়া হোক। আদালত প্রয়োজনে তার পাসপোর্ট জমা রেখে জামিনের আদেশ দিতে পারেন।
সান নিউজ/এফএআর/এমআর