নিজস্ব প্রতিনিধি, ফরিদপুর: ফরিদপুরের সালথায় ফেলে যাওয়া সিগারেটের টুকরার সূত্র ধরে এক ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকের খুনি শনাক্তের দাবি করেছে পুলিশ। খুনি চক্রের পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে ফরিদপুর পুলিশ লাইনস মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।
নিহত চালকের নাম লাবলু ফকির (৪০)। তিনি সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের মীরকান্দি গ্রামের হোসেন ফকিরের ছেলে। ১০ আগস্ট সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আটঘর-জয়কাইল সড়কের পাশের একটি খাদ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত লাবলুর স্ত্রী হনুফা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ১২ আগস্ট সালথা থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করেন সালথা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান।
আজ সংবাদ সম্মেলনে এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে লিখিত বক্তব্য দেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. তরিকুল ইসলাম।
হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের বিবরণ দিয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) সুমিনুর রহমান বলেন, লাবলুর লাশ উদ্ধারের স্থান থেকে ডার্বি সিগারেটের একটি খাওয়া অংশ উদ্ধার করা হয়। পরে জানা যায়, এ সিগারেট খান দক্ষিণ আটঘর গ্রামের মো. ওহিদ গাজী (৩২)। গত সোমবার রাতে সালথা বাজারের যে দোকান থেকে ডার্বি সিগারেট কেনা হয়েছিল, পুলিশ সেটি শনাক্ত করে। হত্যার সময় খুনিকে প্রতিরোধ করেন লাবলু। তিনি ঘুষি দেন, এতে ওহিদের দাঁত ভেঙে যায়। স্থানীয় এক পল্লিচিকিৎসকের কাছে তিনি চিকিৎসাও নেন। ওই সূত্র ধরে আজ ওহিদকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ওহিদ পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
পুলিশ জানায়, ওহিদ গাজী ছাড়াও গ্রেফতার করা হয় সালথা উপজেলার মীরকান্দি গ্রামের মো. হাতেম ফকির (৩২), একই গ্রামের মো. মিলন মীর (২৫) ও মো. সোহাগ মাতব্বর (২২) এবং পাশের বোয়ালমারী উপজেলার সুগন্ধী গ্রামের মো. আজিজুল খানকে (২৬)।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতার আসামিরা স্বীকার করেন যে রিকশাচালকের কাছে থাকা ১৫ হাজার টাকা ও ব্যাটারিচালিত রিকশাটি ছিনতাই করার জন্যই লাবলুকে অপহরণ করে হত্যা করেন তাঁরা।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমান বলেন, আজ বিকেলে আসামিদের ফরিদপুরের ৬ নম্বর আমলি আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
সান নিউজ/এফএআর