জেলা প্রতিনিধি: পাবনার আমিনপুর উপজেলায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ৪ আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। জামিন নামঞ্জুর করে আদালতের নির্দেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গ্যারেজে আগুন, আহত ১৫
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বিকেলে আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে এবং তাদের কারাগারে পাঠায়।
আত্মসমর্পণকারী আসামিরা হলেন- মো. শরীফুল (২৪), রাজীব সরদার (২১), লালন সরদার (২০) ও সিরাজুল ইসলাম (২৩)। তারা সকলেই চর কেষ্টপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৪
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আমিনপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল কুদ্দুস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের জন্য আবেদন করলেও বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেছে। তিনি আরও জানান, আনুষ্ঠানিকভাবে আদালতের মাধ্যমে কোন কাগজপত্র তাদের হাতে আসেনি। কাগজপত্র পেলেই আসামিদের রিমান্ড আবেদন করা হবে।
ভুক্তভোগী নারীর স্বামী জানান, তিনি শুনেছেন ৪ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। আসামিদের উপযুক্ত শাস্তি চেয়ে তিনি বলেন তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। প্রায়ই অচেনা লোকজন গ্রামে এসে তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছে এবং নানান সমালোচনা ছড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন: ট্রাক্টর-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১
উল্লেখ্য, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) মাঝরাতে আমিনপুরের সাগরকান্দি ইউনিয়নের চরকেষ্টপুর গ্রামে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মাহফিলের ডেকোরেশনের কাজে নিয়োজিত ছিলেন ভুক্তভোগীর স্বামী। টাকার প্রয়োজন হলে রাতে স্বামীর কাছে যান তিনি। ওয়াজ শেষ করে রাত ১২টার দিকে পাশেই অবস্থিত এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার সময় তাদের গতিরোধ করেন ৬ জন যুবক। তাদের নানান জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তার স্বামীকে অস্ত্র ও ব্লেডের মুখে জিম্মি করে তাকে ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে ২ জন পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। কোন রকমে ঘটনাস্থল থেকে ছুটে এসে স্থানীয়দের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তদের ১ জনকে আটক করে গণধোলাই দেওয়া হয় এবং বাকিরা পালিয়ে যান। তৎক্ষণাত ভুক্তভোগীকে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পরবর্তীতে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: ভাঙ্গায় বাস উল্টে হতাহত ৩০
ঘটনার পরদিনই ২৪ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) ৬ জনের নামে বাদী হয়ে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারীর স্বামী। এ ঘটনার ১৩ দিন কেটে গেলেও আসামিদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়নি পুলিশ। অতঃপর ১৪ দিনের মাথায় ৪ জন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালতের নির্দেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। তবে এ ঘটনায় জড়িত ২ আসামি এখনো পলাতক রয়েছেন।
সান নিউজ/এসআর/এএন