জেলা প্রতিনিধি: বিদ্রোহী দল আরকান আর্মির সাথে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের বাহিনী বিজিপির তুমুল লড়াই চলছে। আরকান আর্মির দখলে নেওয়া তুমব্রু রাইট ক্যাম্প লক্ষ্য করে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অ্যাটাক হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছোঁড়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ট্রাক দুর্ঘটনা, নিহত ৩
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে এই হামলা চলছে এবং এদিকে আরাকান আর্মিও পাল্টা গুলি ছুঁড়ছে।
বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন জানান, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সীমান্তে বসবাসকারী জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনতে কাজ করছে। সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে এলাকায় অধিক সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। কোনোভাবেই যেন বহিরাগত নাগরিক অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে দিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখছে পুলিশ প্রশাসন।
আরও পড়ুন: বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ১
এসআই মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া জানান, এপারের সীমান্ত ঘেষা স্থানীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং পুলিশ।
বিজিবির গণ সংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম জানান, অস্ত্রসহ বাংলাদেশে প্রবেশ করা বিজিপি সদস্যদের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয় দিয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: দাম্পত্য জীবন শুরুর আগেই শেষ
বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, সীমান্ত ঘেষা গ্রামের লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জনসাধারণের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
সান নিউজ/এএন