নিজস্ব প্রতিবেদক: রেলওয়ে স্টাফদের ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেন বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন ক্যাম্পাসগামী সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: শিক্ষিকার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরের বটতলী রেলস্টেশন থেকে কোনো ট্রেন চবির উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি।
অবশ্য শিক্ষার্থীদের জন্য বটতলী রেলস্টেশন থেকে ৩ টি এবং ষোলশহর রেলস্টেশন থেকে ৫ টি বাসের ব্যবস্থা করেছে চবি প্রশাসন। এছাড়া শিক্ষার্থীরা নিজ উদ্যোগে ভিন্ন যানবাহনে ক্যাম্পাসের উদ্দেশে রওনা দেয়।
আরও পড়ুন: এমপি খুরশিদ আলম আর নেই
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, শাটল ট্রেনের রানিং স্টাফদের তুচ্ছ বিষয়ে অপহরণ, নির্যাতন ও মারধর করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষার্থী। গত ৭ সেপ্টেম্বর একটি দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাটল ট্রেনের লোকোমাস্টারকে মারধর করা হয়।
এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে রেলওয়ের রানিং স্টাফরা ধর্মঘট আহ্বান করে। এতে শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ আহত ১৫
আগে থেকে কোনো ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ শাটল ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন ক্যাম্পাসগামী শিক্ষার্থীরা। রোববার সকালে নগরের বটতলী ও ষোলশহর রেলস্টেশনে এসে কোনো ট্রেন না পেয়ে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বিকল্প ব্যবস্থায় ক্যাম্পাসের উদ্দেশে রওনা দেয়।
চবি শিক্ষার্থী মুজিবুর রহমান জানান, ট্রেন বন্ধ হবে আমরা কেউ জানি না। বটতলী রেলস্টেশন এসে দেখি ট্রেন চলাচল বন্ধ। কোনো ধরনের ঘোষণা ছাড়াই নাকি ধর্মঘট ডেকেছে রেলওয়ে শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: আলুর মজুদ বেশি, তবুও চড়া দাম
চবি প্রক্টর ড. নুরুল আজিম সিকদার জানান, শাটল ট্রেন চালু করতে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতির নেতাদের সাথে আমরা বৈঠক করছি। সকাল সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত এ বৈঠক চলমান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আশা করি, বিষয়টির সমাধান এবং দ্রুত ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এ সময় উপাচার্যের নির্দেশে আমরা শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য কয়েকটি বাস দিয়েছি।
আরও পড়ুন: মধ্যরাতে উত্তাল চবি
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮ টায় বটতলী স্টেশন থেকে শাটল ট্রেন ক্যাম্পাসের উদ্দেশে রওনা দেয়। রাত ৯ টার দিকে ট্রেনটি চৌধুরীহাট রেলস্টেশন এলাকায় পৌঁছালে গাছের ডালের সাথে লেগে ট্রেনের ছাদে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অন্যান্য লোকজন মিলিয়ে প্রায় ২০ জনের মতো আহত হন।
এ ঘটনার পর চবির কিছু শিক্ষার্থী আন্দোলন করে এবং বিভিন্ন স্থাপনা ও গাড়ি ভাঙচুর করে। এতে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাটহাজারী থানায় ২ টি মামলা দায়ের করা হয়।
সান নিউজ/এনজে