আদিল হোসেন তপু, ভোলা: ভোলায় চাঁদাবাজি মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জাকারিয়া হোসেন অমিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সৌদিতে অগ্নিকাণ্ডে ৭ বাংলাদেশির মৃত্যু
শুক্রবার (১৪ জুলাই) দুপুরে শহরের গাজীপুর রোড থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন ফকির গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সকাল ৯টার দিকে ভোলা সদর মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে ৫ লাখ টাকার চাঁদাবাজি মামলা করা হয়। মামলার বাদী ইলিশা লঞ্চঘাটের ম্যানেজার মো. মহসিন ঘরামি। মামলায় নাম উল্লেখিত আসামি পাঁচজন। এদের মধ্যে জাকারিয়া হোসেন অমি প্রধান আসামি।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জাকারিয়া হোসেন অমি গত ৩০ জুন ইলিশা লঞ্চঘাটের ইজারাদার আল নোমানের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে বাদী তাকে নগদ ২ লাখ টাকা দেন। বাকি ৩ লাখ টাকার জন্য ছাত্রলীগের এ নেতা ফারুক নামে ঘাটের এক স্টাফকে মারধর করেন। কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে ঘাট ম্যানেজার তার বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় চাঁদাবাজি মামলা করেন।
একাধিক বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগের এ নেতা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন ( বিআইডব্লিউটিএ) এর জেলা কর্মকর্তাসহ পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে প্রায়ই অসদাচরণ করতেন। এছাড়াও ঈদের আগের দিন ভোলা সদর সার্কেল এর সাথে রাস্তার উপরে অসদাচরণ করেন। ২০১৯ সালে ছাত্রলীগের এ নেতাকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
ওসি শাহীন ফকির জানান, শুক্রবার সকালে ইলিশা লঞ্চঘাটের ম্যানেজার মহসিন ঘরামি জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জাকারিয়া হোসেন অমিকে প্রধান আসামি করে একটি চাঁদাবাজি মামলা করেন। সেই মামলায় দুপুরে শহরের গাজীপুর রোড থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরে বিকেলে আদালতে তোলা হলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
ওসি আরও জানান, ওই মামলায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ রয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ১০ থেকে ১২ জনকে। পুলিশ মামলার অন্যান্য আসামিদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
সান নিউজ/এনকে