মোঃ মনির হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার: ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার মোক্ষপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামছুদ্দিনের বিরুদ্ধে কৃষককের দেড় লাখ টাকার বাঁশ বিক্রিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু কাল
চেয়ারম্যানকে টাকা না দেওয়ার কারণে তিনি বাঁশ বিক্রি করতে দিবেন না ওই কৃষক দাবী করেছেন। তবে চেয়ারম্যান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ত্রিশাল উপজেলার মোক্ষপুর ইউনিয়নের লালপুর কৈতরবাড়ী গ্রামের কৃষক আব্দুল হান্নানের ছেলে মুন্জুরুল হক দীর্ঘদিন যাবৎ তার বাবার কাছ থেকে প্রাপ্ত কয়েক একর জমিতে কৃষি ফসল ও বাঁশের চাষ করেন। প্রতি বছরের মতো ২০২২ সালে তিনি তার জমিতে চাষকৃত ২ হাজার বাঁশ ১লাখ ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। বাঁশের ক্রেতা ওই বাঁশ কাটতে গেলে মোক্ষপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামছুদ্দিন চৌকিদার পাঠিয়ে বাঁশ কাটতে নিষেধ করেন।
বিষয়টি নিয়ে মুঞ্জুরুল হক চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করলে চেয়ারম্যান জানান, আব্দুল খালেক নামের এক ব্যক্তি তার কাছে অভিযোগ দিয়েছে এই জমির ১১ শতাংশ তার নামে বিআরএস খতিয়ানের নাম আছে। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য চেয়ারম্যান মুগুরুলের কাছে জমির দলিল দেখতে চান। মুণ্ডুরুল ১১শতাংশ জমির মূল দলিল চেয়ারম্যানকে দেখান এবং বলেন এই জমি আব্দুল খালেকের কাছ থেকে আমার বাবার ক্রয় করা।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধে ৪৭৭ শিশু নিহত
সে জন্য বিআরএস রেকর্ডে আব্দুল খালেকের নাম রয়েছে। এ সময় চেয়ারম্যান বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য তার কাছ থেকে জমির মূল দলিলটি নিয়ে নেন। পরে বিষয়টি নিষ্পত্তি না করে বাঁশ বিক্রিতে বাধা দেন।
অভিযোগকারী মুণ্ডুরুল হক জানান আমার বাবার ক্রয়কৃত ওই ১১শতাংশ জমিসহ কয়েক একর জমিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরেই বাঁশ বাগান করে আসছি। গত ২০২২ সালে আমার বাগানের বাঁশ প্রায় ২ হাজার বাঁশ পাইকারের কাছে এক লাপ বত্রিশ হাজার টাকায় বিক্রি করি। বাঁশের ক্রেতা পাশ কাটতে গেলে চেয়ারম্যান শামছুদ্দিন চৌকিদার পাঠিয়ে বাঁশ বিক্রিতে বাধা দেন। পরবর্তীতে চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করি।
এ সময় মূল দলি চেয়ারম্যানকে দেখানো হলে তিনি বিষয়টি সমাধান দিবেন বলে মূল দলিল রেখে দেন। পরবর্তীতে চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করলে চেয়ারম্যান বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য এক লাখ টাকা দাবী করেন। তা না হলে বাঁশ বিক্রিতে বাধা দেন। টাকা না দেওয়ার চেয়ারম্যান আবারও বাঁশ বিক্রিতে বাধা দেন।
আমাদের জমি বিআরএম রেকার্ডে ভুল হওয়ায় রেকর্ড সংশোধনের মামলা করেছি। আশা করছি দ্রুত বিআরএস সংশোধন হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে মোক্ষপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামছুদ্দিন জানান, আমি কোন টাকা দাবী করিনি। আলাদতে মামলা আছে তাই বাধা দিয়েছি।
সান নিউজ/এনকে