জেলা প্রতিনিধি : বরিশালের কীর্তনখোলায় নোঙর করে রাখা তেলের ট্যাংকারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও একজন।
আরও পড়ুন : এপ্রিলে সড়কে ঝরল ৫৫২ প্রাণ
বৃহস্পতিবার (১১ মে) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মো. বাবুল কান্তি দাস (৬৪) ও স্বাধীন (২২)। আহত ড্রাইভার কুতুবউদ্দিন (৪৮), ড্রাইভার মো. রুবেল হোসেন (৪৫) ও গ্রিজারম্যান কামাল পাশাকে (৫০) উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড
বরিশাল বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, বিকেল পৌনে ৪টার দিকে জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের খবর পাই। দ্রুত সেখানে নিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করি। এখন পর্যন্ত বাবুল কান্তি ও স্বাধীন নামের দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও একজন নিখোঁজ রয়েছেন। ইঞ্জিনরুম উত্তপ্ত থাকায় নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধারে ওই রুমে অভিযান চালানো যাচ্ছে না।
জাহাজের বার্বুচি দুলাল বলেন, আমরা কাজ করছিলাম। তখন বিকট শব্দে ইঞ্জিনরুমে বিস্ফোরণ হয়। এরপরে পুরো রুমে আগুন লেগে যায়।
দুলাল জানান, জাহাজে ১৬ জন স্টাফ ছিলেন। এরমধ্যে দুজন ছুটিতে বাড়ি গেছেন। তিনজন হাসপাতালে ভর্তি, দুজন বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন। একজন নিখোঁজ। বাকি আটজন অক্ষত রয়েছি।
আরও পড়ুন : পদত্যাগ করলেন কেসিসি মেয়র
সুমন সেন নামের জাহাজের আরেক শ্রমিক বলেন, চট্টগ্রাম থেকে বরিশালের মেঘনা ডিপোতে সাড়ে তিন লাখ লিটার তেল নিয়ে তিনদিন আগে জাহাজটি নোঙর করে। আজ তেল আনলোড শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই ঘটনাটি ঘটে।
এ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা জানিয়েছেন।
বিআইডব্লিউটিএ যুগ্ম-পরিচালক মো. সেলিম বলেন, 'বিআইডব্লিটিএ সদস্যরা জাহাজে খুঁজে নিখোজ কাউকে পায়নি। আগামীকাল সকালে আমরা নদীতে ডুবুরি পাঠিয়ে অনুসন্ধান করব।'
আরও পড়ুন : ‘মোখা’ মোকাবিলায় কন্ট্রোল রুম চালু
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, নিহতদের দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আহতদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কী কারণে বিস্ফোরণ হয় সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
সান নিউজ/জেএইচ