পাওনা চাওয়ায় ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে বাবাকে দিয়ে মামলা!
সারাদেশ

পাওনা চাওয়ায় ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে বাবাকে দিয়ে মামলা!

নিজস্ব প্রতিনিধি:

বোয়ালমারী (ফরিদপুর): ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে অংশীদারী ব্যবসার মালামাল খোয়া যাওয়ায় ভুক্তভোগীর থানায় জিডি এবং ধার পরিশোধে দেওয়া ৩০ লাখ টাকার চেক ডিজঅনার হওয়ার পর চাপ দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক পার্টনার যুবদল সভাপতির বাবা মিথ্যা মামলা দিয়ে চেক গ্রহণকারীকে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগে প্রকাশ, উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের কদমি গ্রামের আবুল হোসেন মোল্যার ছেলে মিজানুর রহমান সোনা মিয়া, একই ইউনিয়নের বনমালীপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান মিয়ার ছেলে রূপাপাত ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ময়নুল ইসলাম ও ইয়ার আলী মিয়ার ছেলে আরিফ ঢাকার উত্তরায় একসঙ্গে ভাড়া অফিসে স্টকলটের ব্যবসা করতেন। করোনার কারণে মিজানুর রহমান গ্রামের বাড়ি কদমিতে চলে এসে তিনমাস অবস্থান করেন। সেই সুযোগে ময়নুল ও আরিফ ঢাকার বাসার মালামাল ও স্টকলটের কাপড় নিয়ে এবং চারমাসের ভাড়া না দিয়ে চলে যান। মিজানুর রহমান ঢাকায় গিয়ে বিষয়টি জানতে পেরে ময়নুল ও আরিফকে বারবার ফোন দিলেও ফোন বন্ধ পান। এ বিষয়ে ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানায় গত ৬ জুলাই জিডি করেন ব্যবসায়ী মিজানুর।

মিজানুর রহমান আরো অভিযোগ করেন, করোনা প্রাদুর্ভাবের আগে ময়নুলকে ব্যক্তিগত ব্যবসার জন্য ৩০ লাখ টাকা ধার দেন তিনি। ময়নুল ৬ আগস্ট তারিখে উত্তোলনযোগ্য সিটি ব্যাংকের তিনটি চেক দিয়েছিলেন। চেকগুলোর মাধ্যমে ৩০ লাখ টাকা তিনি রূপালী ব্যাংকের গোপালগঞ্জ জেলার জয়নগর শাখায় নিজের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে উত্তোলন করতে গেলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় চেক তিনটি ডিজঅনার হয়। এরপর তিনি টাকার জন্য চাপ দিলে বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে যুবদল সভাপতি ময়নুল তার মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে দিয়ে বোয়ালমারী থানায় ‘মিথ্যা মামলা’টি দায়ের করান।

ভুক্তভোগী মিজানুর বলেন, ‘ময়নুল আমার সঙ্গে ঢাকায় ব্যবসা করতেন। আমার ছেলে অসুস্থ থাকায় আমি ছেলের চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। সেই সুযোগে ময়নুল প্রায় ১৭/১৮ লাখ টাকার মালামাল ও নগদ কিছু অর্থ নিয়ে পালিয়ে যান। এ বিষয়ে ময়নুলের বিরুদ্ধে ঢাকায় জিডি করেছি। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে মামলা করেছেন তার বাবা আব্দুল মান্নান মিয়া।’

বনমালীপুর গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘ময়নুলের বাবার করা মামলার এজাহারে পরিবারের নারী সদস্যদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ করা হয়েছে। ময়নুলের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। নারী সদস্যরা জানিয়েছেন, তাদের শারীরিভাবে লাঞ্ছিত করা হয়নি। তবে ময়নুলের ভাগ্নে বলেছেন, তাকে চড় থাপ্পড় মেরেছেন। ঘটনার দিন আব্দুল মান্নান মিয়া বাড়িতেও ছিলেন না।’

এ বিষয়ে ময়নুল ইসলামের বক্তব্য নিতে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে (০১৭১১০০৮৬৬৩, ০১৯৭১০০৮৬৬৩) যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে।

সান নিউজ/ এআর

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

রায়পুরা উপজেলা বন বিভাগের অফিসের নার্সারীর স্থানে অফিসার ক্লাব নির্মাণ

নরসিংদী রায়পুরা উপজেলা বন বিভাগের নার্সারিটির প্রায় তিন হাজার চারা নষ্ট করে...

সংসার ভাঙল গায়িকা কণার, নেপথ‍্যে কী?

প্রায় অর্ধযুগ সংসার করার পর বিচ্ছেদ ঘটালেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী দিলশাদ নাহার কণ...

‘জীবনে এত অসহায় কখনো ফিল করিনি’- আসিফ নজরুল

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘জীবনে এত অ...

সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়ালের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে শেরেবাংলা নগর থানায় করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন ক...

ভবিষ্যতের ক্যানভাসে বাংলাদেশে মোশন গ্রাফিক্স

একটা সময় ছিল, যখন ডিজাইন মানেই পোস্টার, ব্যানার বা বিজ্ঞাপন বোর্ডে স্থির কোনো...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা