সান নিউজ ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী বাড়ছে বাংলাদেশি তরুণ-তরুণীদের কদর। প্রেমের টানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে চলে আসছেন বিয়ে পাগল মানুষেরা। এর ধারাবাহিকতায় প্রেমের টানে সুদুর ফিলিপাইন থেকে লক্ষ্মীপুরে ছুটে আসেন যোয়ান ডিগুসমান লেগুমবাই নামে এক তরুণী।
আরও পড়ুন: সিলেটে ছুটে এলেন জার্মান তরুণী
তার ধর্ম ত্যাগ করে প্রেমিক নাইমকে গায়ে হলুদ শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়েও করতে যাচ্ছেন তিনি।
এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ভীনদেশী নববধূকে দেখতে ভিড় করছেন স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী গ্রামে প্রেমিক নাইমের বাড়িতে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হয়। সেখানে বিদেশি ওই তরুণীকে দেখতে শতশত মানুষ ভিড় জমায়।
আরও পড়ুন: ৫৩ জনের মনোনয়ন দাখিল
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে শহরের একটি চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে ঝাকঝমকভাবে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে গত ৩ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) নাইমের বাড়িতে আসেন ফিলিপাইনের ওই তরুণী।
মো. নাইমুর রশিদ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী গ্রামের বাসিন্দা নুর মোহাম্মদের ছেলে। তিনি মালয়েশিয়া প্রবাসী।
জানা যায়, নাইমুর রশিদ মালেশিয়ায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন। চাকরির সুবাধে তার সাথে পরিচয় হয় ফিলিপাইনের আরনেসতা লেগুমবাই ও ইমেলদা লেগুমবাই দম্পতির মেয়ে যোয়ান ডিগুসমান লেগুমবাইয়ের। পরিচয় থেকে শুরু হয় তাদের প্রেম। আর সেই প্রেমের টানে নিজের ধর্ম বদলে বাংলাদেশে পাড়ি জমিয়েছেন এই ফিলিপাইনের তরুণী। এখানে এসে খ্রিস্টান ধর্ম পরিবর্তন করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নতুন নাম রেখেছেন নাজিফা রশিদ আমিরা।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান জেলেনস্কির
নাইম জানান, গত ৮ বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। এরমধ্যে তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্তে ছুটি নিয়ে আসেন বাংলাদেশে। নিজের এবং ওই তরুণীর বাবা মায়ের সম্মতিতে তাকে বিয়ে করেছেন। ছুটি শেষে আবার তারা মালেশিয়ায় ফিরে যাবেন।
ফিলিপাইনের তরুণী জানান, বাংলাদেশে এসে তার খুবই ভালো লাগছে। এখানকার মানুষের সাথে খুব সহজেই মিশতে পারছেন। বাংলাদেশের খাবার ও এখানকার সংস্কৃতি তার খুব পছন্দ হয়েছে। তার বাংলাদেশে স্থায়ী ভাবে বসবাস করার ইচ্ছে আছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে বেড়েছে শনাক্ত ও প্রাণহানি
নাইমের স্বজনরা জানান, উভয় পক্ষের সম্মতিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হতে যাচ্ছে। ফিলিপাইনের ওই তরুণী আসার পর থেকে সবার সাথে মিলেমিশে চলছে। এখানকার খাবার দাবার তার খুব পছন্দ। তাকে দেখতে বাড়িতে ছুটে আসছেন মানুষরা। সে ইংরেজীতে কথা বলে, মাঝে মাঝে কিছু কথা বাংলায়ও বলতে পারে।
এদিকে আগে খবরের কাগজে বিদেশি মেয়েরা বাঙালি ছেলের প্রেমের টানে চলে আসে এমন খবর দেখলেও এখন তা নিজের চোখে দেখছেন বলে জানান স্থানীয়রা।
সান নিউজ/এনকে