কামরুজ্জামান স্বাধীন, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : চলতি আমন মৌসুমের ১৭ নভেম্বর থেকে সরকারী ভাবে ধান চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হলেও কুড়িগ্রামের উলিপুরে এ পর্যন্ত এ কার্যক্রমের উদ্বোধন পর্যন্ত হয়নি।
আরও পড়ুন : ভোলা অনলাইন উদ্যোক্তা মেলা অনুষ্ঠিত
সরকারী মুল্যের চেয়ে ধান চালের বর্তমান বাজার মুল্য বেশী হওয়ায় লোকসানের আশংকায় ধান চাল সরবরাহের চুক্তিবদ্ধের নির্ধারিত তারিখ ২৬ নভেম্বর শেষ হলেও একজন মিলারও চুক্তিবদ্ধ হয়নি। যার ফলে চলতি মৌসুমে সরকারি ভাবে আমন ধান ও চাল ক্রয় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস জানান, চলতি মৌসুমে ২২-২৩ অর্থ বছরে সরকারী খাদ্য গুদামে ধান প্রতি কেজি ২৮ টাকা ও চাল ৪২ টাকা দরে ১৩৪৪ টন ধান ও ৬২১ টন চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
আরও পড়ুন : গৌরীপুর প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন
মিল চাতাল মালিক রেজাউল করিম রাজা জানান, বাজারে এখন মোটা ধান প্রতি কেজি ৩০/৩১ টাকা, আর মোটা চাল প্রতি কেজি ৪৪ টাকা ও চিকন চাল ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থায় সরকারী গুদামে চাল দিলে এবার বেশি লোকসান গুনতে হবে। তার উপর সরকারকে ২% হারে আয়কর দিতে হবে। তাই লাইসেন্স বাতিল হলেও চুক্তি করবো না। তবে সরকার যদি বিষয়টি বিবেচনা করে মুল্য পুনঃ নির্ধারন করে তাহলে তিনি চুক্তি করবেন।
উপজেলা মিল চাতাল মালিক সমিতির আহবায়ক পার্থ সারথী সরকার বলেন, লোকসানের আশংকায় মিল চাতাল মালিকরা সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে চাচ্ছে না। লোকসানে গুনে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা যাবে না। চুক্তি না করলে লাইসেন্স বাতিল হলেও তাদের কিছু করার নাই।
আরও পড়ুন : রাজশাহীতে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, এবার ২৪ হাজার ৫৫০ হেক্টরে আমন চাষ হয়েছে। ধান উৎপাদন হয়েছে ৬৭ হাজার ৫১২ টন। ফলনও হয়েছে বাম্পার। ফলে বাজারে ধান চালের সংকট হবে না।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ মিসবাউল হোসাইন জানান, বর্তমানে বাজারে ধানের মূল্য ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা। ধান ক্রয় করে চাল তৈরি ও মিটার পাসের জন্য চাল শুকানো ও গুদাম পর্যন্ত চাল পরিবহন ও মোট বিলের ওপর মিলাদের ২ শতাংশ উৎসে কর ধার্য করায় মিলাররা চাল দিতে আগ্রহী নয়।
আরও পড়ুন : পদ্মায় জেলের লাশ উদ্ধার
তালিকাভুক্ত ৭১ জন মিল চাতাল মালিক নির্ধারিত ২৬ তারিখ পর্যন্ত কেউ চুক্তি করেনি। সরকার চুক্তিবদ্ধের তারিখ বৃদ্ধি করেছে আগামী ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বিষয়টি সরকারি ভাবে সমঝোতার চেষ্টা চলছে।
উপজেলা ধান চাল ক্রয় কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোভন রাংসা বলেন, যেভাবেই হউক মিলার ও কৃষকদের ম্যানেজ করে সরকারী মুল্যেই ধান চাল ক্রয়ের চেষ্টা করা হবে।
সান নিউজ/এইচএন