এহসানুল হক, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ): ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে কাঁচামাটিয়া নদীতে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। বালু উত্তোলনে স্থানীয়রা বাঁধা দিলেও প্রতিকার হয়নি। প্রশাসন বলছেন, খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে উৎপত্তি হয়ে ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ ও নান্দাইল উপজেলা হয়ে আবার ব্রহ্মপুত্রে মিলিত হয়েছে। প্রায় ৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে ও গড় ১১৭ মিটার প্রস্থের সর্পিলাকার প্রকৃতির নদীটি এ অঞ্চেলের মানুষের জীবন জীবিকার একমাত্র অবলম্বন ছিলো। কিন্তু কালের আবর্তে আজ নদীটি মৃত প্রায়। শুষ্ক মৌসুমে নদীতে চাষ হয় ধানের। এর মধ্যে নদীতে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলনের উৎসব চলছে। বিভিন্ন স্থানে এসব চললেও প্রশাসন নির্বিকার। নদী জুড়ে ঘের দিয়ে প্রবাহ আটকে দিলেও কোনো পদক্ষেপ নেই।
গত কিছুদিন ধরে কাঁচামাটিয়া নদীর ঈশ্বরগঞ্জের তারুন্দিয়া ইউনিয়নের গাবরবোয়ালী এলাকায় ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন চলছে। গত কিছুদিন ধরে বালু উত্তোলন শুরু হলে স্থানীয়রা তাতে বাঁধা দেন। ওই এলাকার শামছু মিয়া নামে এক ব্যক্তি ২০ শতক জমি ভরাট করছেন ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে।
শামছু মিয়া জানান, মালিকানা জমি থেকে বালু তোলা হচ্ছে। যে স্থান থেকে বালু তোলছেন সেখানে বর্ষায় পানি প্রবাহ থাকে।স্থানীয় মোজাম্মেল হক জানান, ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে পাশে থাকা তাদের জমি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। ঈশ্বরগঞ্জ-তারুন্দিয়া রাস্তাও ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। নিষেধ করলেও তা মানছে না। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে পাম্প, ড্রেজিং বা অন্য কোন মাধ্যমে ভূ-গর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা নিষিদ্ধ। আইনে দুই বৎসর কারাদন্ড বা সর্বনিম্ন পঞ্চাশ হাজার টাকা হতে দশ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হওয়ার বিধানও রয়েছে।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজা জেসমনি বলেন, ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলনের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন।
সান নিউজ/এনকে