মো:মনির হোসেন, ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের গঁফাকুড়ি গ্রামের প্রতিবন্ধী ছেলে নয়ন (১৪), সে পরিবারের বড় সন্তান। বাবা নুরুল ইসলাম অন্যের জমিতে দিনমজুর খাঁটে, মা ভিক্ষা বৃত্তি করে। এভাবেই কষ্টে চলছে তাদের ছয় সদস্যের সংসার জীবন। জন্ম থেকেই দুই পায়ে সমস্যা তার। এতোদিন পরিবারের কাঁধে বোঝা হয়েই চলছিল সে। সম্প্রতি বিষয়টি নজরে আসে ত্রিশালের ইউএনওর। তিনি এই প্রতিবন্ধীর কষ্ট লাগবে একটি হুইলচেয়ারের ব্যাবস্থা করে দেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে হুইলচেয়ারটি হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: কুনিও হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল
জানা যায়, নয়ন মিয়ার আরও তিন ভাইবোন রয়েছে। তাদের বাড়িতে থাকার জন্য পাঁচ শতাংশ জমি ছাড়া আর কোনো জায়গা-জমি নাই। এটুকু জায়গার মধ্যেই ছোট একটি খুপড়ি ঘরে তারা থাকে। মা সালমা বেগম একটু সহযোগিতার আশায় প্রতিবন্ধী ছেলেকে সাথে নিয়ে ভিক্ষা বৃত্তি করে বেড়ান। নিয়মিতই তিন কিলোমিটার পথ মাড়িয়ে চলে আসেন পৌরশহরের ত্রিশাল বাজারে। বাবার শ্রম আর মায়ের ভিক্ষা বৃত্তির টাকা দিয়েই চলে তাদের সংসার।
প্রতিবন্ধী নয়ন মিয়া বলেন, এভাবে আমার এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলাচল করতে খুব কষ্ট হতো। ইউএনও স্যার আমার জন্য একটি হুইলচেয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়াতে এখন কষ্ট কমবে।
আরও পড়ুন: কুনিও হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল
নয়নের মা সালমা বেগম বলেন, আমার ছেলের কষ্ট দেখে ইউএনও স্যারের দয়া হয়েছে। এখন হুইলচেয়ারে বসে সে নিজে নিজেই চলতে পারবে।
ত্রিশাল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, প্রতিবন্ধী নয়নকে নিয়ে তার মা ভিক্ষা করতে উপজেলা চত্বরে আসলে বিষয়টি আমার নজরে আসে। তখন তাদের অসহায়ত্বের কথা শুনি। মায়ের সাথে সাথে হাতে ভর দিয়ে দু'পা ছেঁচড়িয়ে নয়নের এই চলা সত্যিই খুব কষ্টকর ছিল। তার এই কষ্ট দেখে তার জন্য একটি হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। সমাজের বিত্তবানদের কেও এগিয়ে আসার আহবান জানাই।
সান নিউজ/এমআর