আমিরুল হক, স্টাফ রিপোর্টার: দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ। এই প্রকল্পটি ৯০ দশকে নির্মিত হয়। খাদ্য-শষ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, দারিদ্র বিমোচন ও জীব-বৈচিত্র রক্ষায় অগ্রণী ভুমিকা রাখছে প্রকল্পটি।
দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কেপিআই ভুক্ত সেচ প্রকল্পটি রোদ, বৃষ্টি, ঝড় ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রয়োজনীয় বরাদ্দের অভাবে অপারেশন ডেকের জলকপাটে মরিচা, লেকাল মুড, অটোমুড, ওয়ার রোপ ও বৈদ্যুতিক মটরের সিংহভাগ যন্ত্রাংশই ধারণ ক্ষমতা হারায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, যান্ত্রিক বিভাগ ২০২১ সালে অপারেশন ডেকের যন্ত্রাংশ পূর্নস্থাপন ও সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চেয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় আবেদন করে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে উন্নয়ন রাজস্ব খাতের আওতায় তিস্তা সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকার পুনর্বাসন সম্প্রসারণ শীর্ষক প্রকল্পের অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ প্রকল্পের আওতায় জরুরী ওয়ার্ক অডারের অনুমোদন পায় নীলফামারীর ডিমলা-ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের যান্ত্রিক বিভাগ। রঙ ও অপারেশন ডেকের যন্ত্রাংশ পূর্নস্থাপনের জন্য দরপত্র আহবান করা হয়। এ দরপত্রে কাজ পায় মেসার্স ইউনাইটেড ব্রাদাস লিমিটেড ও শাহ এন্ড এসোস্যুয়েট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
এ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো সেচ প্রকল্পের অপারেশন ডেকের জলকপাটের মরিচা ক্ষয়প্রতিরোধে রঙয়ের কাজ, লেকাল মুড, অটোমুড, ওয়ার রোপ ও বৈদ্যুতিক মটর পূর্নস্থাপন ও সংস্কারে কাজ প্রায় শেষের দিকে।
এ ব্যাপারে নীলফামারীর ডিমলা-ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) রুবাইয়াত ইমতিয়াজ বলেন, প্রায় ৯০ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্পের এ চ্যালেজিং কাজের গুগতমান ও সৌন্দর্যের ভারসাম্য রক্ষার স্বার্থে ব্যারেজের কনক্রিট স্থাপনা ও স্টীল রেলিংসহ কন্ট্রোল বিল্ডিং রঙ করা হয়েছে।
সান নিউজ/এনকে