আমিরুল হক, নীলফামারী : নীলফামারীর সৈয়দপুরে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বখাটেদের হামলার ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর মা শিল্পী খাতুন গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
আরও পড়ুন : রিজভীর বক্তব্য সরাসরি আদালত অবমাননা
রোববার (২১ আগস্ট) রাত ৮টায় তাকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা ভালো নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক কর্মকর্তা।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, হাসপাতালের তৃতীয় তলায় মহিলা মেডিসিন বিভাগের ১৫ নম্বর বেডে শুয়ে শারীরিক যন্ত্রণায় কাতর অবস্থায় শিল্পী খাতুন। পাশে বসে নির্বাক দুষ্টিতে তাকিয়ে আছেন স্বামী শরিফুল ইসলাম। একদিকে মেয়েকে নিয়ে আতঙ্ক আর অন্যদিকে স্ত্রীর জীবন নিয়ে শঙ্ক। কি করবেন এ ভেবে যেন কোন কুল কিনারা পাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, আমার মেয়ে বাড়ির পাশেই ছমির উদ্দীন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। স্কুল ও কোচিংয়ে যাতায়াতের পথে একই এলাকার সামসুলের ছেলে আলামিন, আলমগীর ও আইনুল প্রায়ই উত্যক্ত করে।
আরও পড়ুন : গ্যাস সংকটে ভুগছে শিল্প কারখানা
গত রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় আমার মেয়েকে অশ্লিলল অঙ্গভঙ্গির সাথে কাদা ও ঢিল ছুড়ে মারায় আইনুলকে থাপ্পড় মারে মেয়েটি। এরই জের ধরে আধাঘণ্টা পর ওই বখাটে ছেলেরা তাদের বাবা সামসুল, মা ফতে, চাচা আইজুল, চাচাত ভাই আরিফসহ অতর্কিত হামলা চালিয়ে বাড়িতে ভাঙ্চুর করাসহ আমার স্ত্রীকে বেধড়ক মারপিট করে। এতে গুরুত্বর আহত হয় সে।
ওই সময় স্থানীয়ভাবে ওষুধ খেলেও রাতে নির্যাতনের জখমে প্রচন্ড যন্ত্রণা করায় খুব বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। ফলে বাধ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়ছে।
আক্ষেপের সাথে তিনি বলেন, আমরা গরিব মানুষ। নির্যাতিত হয়েও বিচার পাইনা। প্রশাসনও নিরব। প্রতিপক্ষও হুমকি দিচ্ছে। এতে আমরা আতঙ্কের মধ্যে আছি।
আরও পড়ুন : সঙ্কট সৃষ্টির গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে
সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক বিচিকৎসক কর্মকর্তা ডা. ওমেদুল হাসান বলেন, রোগী যে ধরণের আঘাত পেয়েছেন তা সারতে সময় লাগবে। এখন তাঁর অবস্থা যে ভাল তা বলা যাবে না।
সৈয়দপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ তদন্তের জন্য পুলিশ কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সান নিউজ/এইচএন