সান নিউজ ডেস্ক: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা নিয়ে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য সরাসরি আদালত অবমাননা, আদালতের প্রতি চ্যালেঞ্জ ও ফৌজদারি অপরাধ। আমি মনে করি, তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা এবং ফৌজদারি অপরাধ এ দুটি কারণে ব্যবস্থা নেওয়া, মামলা হওয়া প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ বাংলাদেশি নিহত
সোমবার (২২ আগস্ট) বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে কবি, সাংবাদিক, গীতিকার ও সফেন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ড. খান আসাদুজ্জামান রচিত ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের মহাকাব্য’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।
সোসাইটি ফর এনলাইটেনিং নেশন-সফেন ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক ডিআইজি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. গোলাম কিবরিয়া ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়া বিশেষ অতিথি এবং কথাশিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান মজনু এবং এফবিসিসিআইয়ের কেন্দ্রীয় সদস্য রানা চৌধুরী সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সঙ্কট সৃষ্টির গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে
পরে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী যে বক্তব্য দিয়েছেন এটি সরাসরি আদালত অবমাননা, আদালতের প্রতি চ্যালেঞ্জ এবং ফৌজদারি অপরাধ। আমি মনে করি, তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা এবং ফৌজদারি অপরাধ— এ দুটি কারণে ব্যবস্থা নেওয়া, মামলা হওয়া প্রয়োজন। কারণ ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা নিয়ে মামলা হয়েছে, দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া অবলম্বন করে, মামলার সাক্ষ্য সম্পন্ন করে বিচার হয়েছে। বিচারে অনেকের ফাঁসি হয়েছে এবং তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। যেটি আদালতে মীমাংসিত এবং আদালতে শাস্তিপ্রাপ্ত সেটি নিয়ে এ ধরনের কথা বলা আদালতের প্রতি ধৃষ্টতা প্রদর্শন, আদালত অবমাননা এবং ফৌজদারি অপরাধ।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে সেচের সুবিধার্থে, কৃষির সুবিধার্থে গ্রামে লোডশেডিং কমানোর জন্য সাময়িকভাবে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই মৌসুমের ধান সেচ ও সূর্যালোকের ওপর নির্ভর করে। এ সময় সেচের প্রয়োজন হতো না, কিন্তু এ বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকরা ধান বুনতে এবং অন্যান্য কৃষিকাজ করতে পারছে না। এখন যদি তাদের আমরা সেচের জন্য বিদ্যুৎ দেই, সেটি খুব বেশি কাজে লাগবে। ১০-১৫ দিন পরে দেওয়া শুরু করলে তো কাজে লাগবে না।’
আরও পড়ুন: আমরা ক্লাস ফোর-ফাইভের ছাত্র না
তিনি আরও বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোসহ সমগ্র পৃথিবীতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইউরোপের দেশগুলোতে পানি গরম করার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাজ্যে সপ্তাহে তিন দিন স্কুল করা হচ্ছে। জার্মানিসহ বিভিন্ন জায়গায় যেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কখনও বিদ্যুৎ যায়নি সেখানেও নানা ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাপী খরা চলছে। আমাদের দেশে যাতে সে কারণে ফসলহানি না হয়, সেজন্য এ ব্যবস্থা।’
সান নিউজ/কেএমএল