এস এম রেজাউল করিম, ঝালকাঠি: ঝালকাঠি হরচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা কেন্দ্রে এক নুসরাত নামে এক শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে যাবার পরেও অতিরিক্ত ১০/১৫মিঃ সময় দেয়া এবং হলে দায়িত্বরতদের বিরুদ্ধে উত্তর বলে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার ঝালকাঠি হরচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১২ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ওখানে দায়িত্বরত ম্যাজিষ্ট্রেট আরডিসি বশির গাজীর কাছে এ বিষয় অভিযোগ জানালেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি। বরং তার উপস্থিতিতেই এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
তারা জানান, এক কর্মকর্তার সাথে ঔ পরীর্ক্ষীর স্বামীর সুসম্পর্কের কারনে সে পরীক্ষার হলে এই সুবিধা ভোগ করে।
হরচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রের একটি হলে পরীক্ষা শুরুর পূর্বে ঐ সাংবাদিকের স্ত্রী নুসরাত শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাকে হলে রেখে যাওয়ার সময় দায়িত্ব প্রাপ্তশিক্ষক ও কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত আরডিসি বশির গাজীর সাথে কথা বলে চলে যায়। এরপর পরীক্ষা চলার পুরো সময়ে দায়িত্বরত শিক্ষকরা তার কাছে গিয়ে একাধিকবার উত্তর বলে দেয়। পরীক্ষা শেষের ঘন্টা বাজলে সকলে উত্তরপত্র নিয়ে গেলেও তাকে প্রায় ১০/১৫ মিনিট সময় দিয়ে উত্তর লিখেতে সহায়তা করা হয়। একজন পরীক্ষার্থীর প্রতি এধরনের অনৈতিক সহযোগীতায় হলে সকল চাকুরীপ্রার্থীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এ বিষয় আরডিসি বশির গাজী বলেন, কিছু শিক্ষার্থী আমার কাছে এসে অভিযোগ করেছে এক শিক্ষার্থীকে সময় বেশি দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক জোহর আলী বলেন, কাউকে পরীক্ষায় অতিরিক্ত সময় দেয়া হলে সেটা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সান নিউজ/এনকে