মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ: সীমানা নির্ধারনের পর এবার অস্তিত্ব হারাতে বসা মুন্সীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী রিকাবীবাজার খালের খনন ও দুই পাশে ওয়াকওয়ে কাজ শুরু করে জেলা প্রশাসন। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টার খনন ও ওয়াকওয়ে কাজ শুরু করা হয়।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, উচ্ছেদের পর আজ ভেকু দিয়ে খালের ময়লা আবর্জনা স্তূপ পরিস্কার করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। রিকাবীবাজার পূর্বপাড়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ভেকু দিয়ে ওয়াকওয়ের জন্য মাটি ভরাট করা হচ্ছে।
এর আগে, মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন খাস জমি ও রিকাবীবাজার খাল থেকে অবৈধ স্হাপনা সরানো জন্য গেল ৮ ফেব্রুয়ারি মাইকিং করে। পরে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। এতে প্রায় পাঁচশত মতো অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
মিরকাদিম পৌরসভার রিকাবীবাজার খালটির দৈর্ঘ এক কিলোমিটারেরও বেশি। এটি প্রায় দুইশ বছরেরও বেশি পুরোনো। ধলেশ্বরী নদীর কাঠপট্টি ঘাট থেকে এই খালের উৎপত্তি হয়। মিরকাদিম পৌরসভার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে রিকাবীবাজার সরকারি প্রাইমারি স্কুল সংলগ্ন ইছামতী নদীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কামরুল হাসান মারুফ জানান, জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশে খাল এবং সরকারি জায়গা দখল করে পাকা, আধা পাকা অন্তত ৫’ শ স্থাপনা সরানো হয়েছে। গেলো ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছিল।
আরও পড়ুন: এবার রাশিয়াকে জাপানের নিষেধাজ্ঞা
তিনি আরও বলেন, উচ্ছেদ কার্যক্রমে পর খাল খনন কাজ ও ওয়াকওয়ে শুরু হয়েছে। খাল নতুন করে কেও যেন দখল করতে না পারে, সে জন্য খাল পাড় ঘেষেঁ পায়ে হাঁটার জন্য ওয়াকওয়ে বানানো হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, জেলা প্রশাসনের উদ্যােগে খাল উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে। এতে অনেক বাড়ি,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অবৈদ দখলের তালিকায় পড়েছে। আমরা চাই সব বাধা উপেক্ষা করে উচ্ছেদ হয়েছে। আরও জানান, বর্ষা আগে খান খনন হউক।এতে খাল দিয়ে আবারও লঞ্চ চলবে। খালের পানি রান্না-বান্নাসহ গৃহস্থলির সব ধরেণর কাজ করার উপযোগী হবে। এ খাল দিয়ে আবারো প্রাচ্যের কলকাতা’ বলে পরিচিত কমলাঘাট নৌবন্দরে বড় বড় নৌকা দিয়ে মালামাল পরিবহন করা যাবে।
সান নিউজ/এমকেএইচ