নিজস্ব প্রতিনিধি, নড়াইল: নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজার নির্দেশে নড়াইল সদর হাসপাতালের ৮ চিকিৎসক ও ২ মেডিকেল প্যাথলজিস্ট ও ১ কর্মচারীকে শোকজ করা হয়েছে।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আসাদ-উজ্জামান মুন্সী। বলেন, সকাল ৯টার পরে আসায় ৮ জন চিকিৎসক ও ২ জন মেডিকেল প্যাথলজিস্টকে শোকজ করা হয়েছে। এছাড়া রোগীদের খাবার কম দেওয়ায় আউটসোর্সিংয়ে ১ জন কর্মচারীকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে সদর হাসপাতালে ঝটিকা সফরে যান সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা। এ সময় তিনি হাসপাতালের অনিয়ম দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। এরপর বিকালে তাদের শোকজ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, শনিবার নড়াইল সদর হাসপাতালে আকস্মিক পরিদর্শনে যান। এ সময় রোগীদের খাবার না দেয়া, ওষুধ না দেয়া সহ বিভিন্ন অভিযোগ করেন রোগী ও স্বজনেরা। এছাড়া চিকিৎসক ও মেডিক্যাল প্যাথলজিস্টদের সময়মতো হাজির না হওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম দেখতে পান মাশরাফি। হাসপাতালে প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান করে চলে যান। আধা ঘণ্টা পর আবার তিনি হাসপাতালে আসেন। তখনো সব চিকিৎসককে পাননি। এ ঘটনায় মাশরাফি ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন। পরে তিনি শিশু ওয়ার্ডে গেলে রোগীরা অভিযোগ করেন, শুক্রবার রাতে সতেরো জনের জায়গায় তিন জনকে খাবার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া চিকিৎসক-নার্সরা ঠিক মতো রোগী দেখেন না। বাথরুম অপরিষ্কার থাকে বলেও অভিযোগ করেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
পরে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সব চেয়ে সফল অধিনায়ক ও জাতীয় সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেন, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ পেয়ে আসছি। এত দিন হাতে প্রমাণ ছিল না। আজ নিজে দেখতে পেলাম। বিভিন্ন স্থান থেকে গরিব মানুষ চিকিৎসার জন্য আসে হাসপাতালে। অথচ তাদের খাবার ও ওষুধ দেওয়া হয় না। এমনকি ঠিকমত অফিস করেন না হাসপাতালের চিকিৎসক ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
সান নিউজ/এমকেএইচ