মো.নাজির হোসেন,মুন্সীগঞ্জ: আর কয়েকদিন পরই পবিত্র ঈদুল আজহা। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে এ ঈদ সামনে কোরবানির জন্য কামারপাড়ায় তেমন ব্যস্ততা নেই। নেই টুং টাং শব্দ। বংশ পরম্পরায় এ পেশার সঙ্গে জড়িত কামার পরিবার গুলো। পরম যত্ন সহকারে তারা কোরবানির জন্য চাপাতি, চাকু, ছুরিসহ ধারালো সব সামগ্রী তৈরি। অথচ করোনার কারণে এ বছর তাদের হাতে কাজ কমে গেছে।
সরেজমিনে মুন্সীগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠ পঞ্চসার পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন কামারপাড়ায় এমন চিত্র মিলেছে।
কামাররা বলছেন, তাদের কাজ নেই বলে অনেকটা অলস বসে আছেন। মনে করছে করোনার কারণে এ বছর কোরবানির পশু জবাই কম হবে৷ তাই তো এবার দা,বটি, ছুরি, চাকু, চাপাতি ও পশু জবাই করার বড় আকারের ছোরা বানাতে আসছেন উল্লেখযোগ্য কেউ। এতে অবসর সময় কাটাচ্ছেন তারা।
কামার ভোলা নাথ (৪৮) বলেন, আমি এখানে ২৫ বছর ধরে এ পেশায় জড়িয়ে আছি। বাপ-দাদার পেশাকে আকড়ে ধরে রেখেছি। আগে কোরবানির ঈদ আসলে দৈনিক ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা রোজগার করতাম৷ অথচ গেল বছর কোরবানির ঈদের সামনে তেমন আয় রোজগার হয়নি৷ আর এ বছর হাতে তেমন কোন কাজ নেই।
তিনি আরও বলেন, লকডাউন চলাকালীন ৩০০ টাকার বেশি কাজ করতে পারি না। এ টাকায় সংসার চলে না। সংসারে বাবা, মা, স্ত্রী ও তিন কন্যা সন্তান রয়েছে। মনে করেছিলাম ঈদ ঘিরে কিছু কাজ করবো৷ কিন্তু মনে হচ্ছে না ভালো কাজ হবে।
সাননিউজ/ জেআই
 
                                     
                                 
                                         
                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                     
                            