নিজস্ব প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও: ত্রাণ চাওয়ার অপরাধে চকিদার ও ইউপি সদস্য ইসলাম উদ্দিন (৬৪) নামে এক বৃদ্ধকে বেধড়ক পিটিয়েছে। বুধবার রাত ৯টার দিকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২০ নং রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের পাশের দোকানে ঘটে এ ঘটনা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সদর উপজেলার রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের কশালগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ইসলাম উদ্দিন ইউপি ভবনের পাশে এক দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় কয়েকজন ব্যক্তি গল্প করতে থাকে যে এবার সরকার ভিজিএফ চালের পরিবর্তে নগদ টাকা দিচ্ছে। তাতে গরিব মানুষদের ঈদের খরচ হয়ে যাবে। এসময় বৃদ্ধ ইসলাম উদ্দীন জানান যে, সরকারের উদ্যোগ ভাল কিন্তু আমাদের জনপ্রতিনিধিরা খারাপ।
আমি এখন পর্যন্ত একটা বয়স্ক ভাতার কার্ড পাইনি। কর্ডের জন্য মেম্বারের বাড়ি ঘুরতে ঘুরতে আমার অনেক জুতার সেন্ডেল ক্ষয় হয়ে গেল।
তিনি আরো বলেন, আমরা গরিব মানুষ অথচ সরকারি কোন সাহায্য পাই না। সরকার তো অনেক কিছুই দিচ্ছে। আর মেম্বারের কাছে গেলে বলেন কিছুই আসেনি”। ওই সময় গল্পের স্থলে উপস্থিত ছিল গ্রাম পুলিশ বলাই চন্দ্র । তিনি ইউপি সদস্য বিশ্বনাথকে বৃদ্ধের অভিযোগ ফাঁস করে দিলে ওই ইউপি সদস্য তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং বৃদ্ধ ইসলাম উদ্দিনকে চড় থাপ্পড় মারেন। এক পর্যায়ে বৃদ্ধ ইসলাম মাটিতে পড়ে গেলে তার ছেলে মোস্তাফা এগিয়ে আসলে চকিদার ও মেম্বার তাকেও মারধর করে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ইসলাম উদ্দিন জানান, আমি ত্রাণ পাই না অভিযোগ করায় মেম্বার বিশ্বনাথ বর্মন আমাকে মারপিট করেছে। আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য বিশ্বনাথ বলেন, ইসলাম উদ্দিন আমাকে ও চেয়ারম্যানকে গালিগালাজ করে। বিষয়টি জানতে পেরে চেয়ারম্যানকে বিষয়টা জানালে তার পরামর্শে আমি বৃদ্ধকে কয়েকটা চড় থাপ্পড় মেরছি।
ইউপি চেয়ারম্যান অনিল কুমার সেন জানান, বৃদ্ধকে মারপিটের ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।
রুহিয়া থানার ওসি চিত্তরন্জন রায় বলেন, ২০ নং রুহিয়া ইউনিয়ন পরিষদের এক মেম্বার এক বৃদ্ধকে মারপিট করেছে এটা শুনেছি। কেউ অভিযোগ না করায় কোন প্রকার পুলিশী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আমি শুনেছি বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আাপোষ মীমাংসা করা হয়েছে।
সান নিউজ/বিআই/কেটি