নিজস্ব প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ : রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মানিকগঞ্জের সাত উপজেলায় এ বছর আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। গত মৌসুমে আলুর দাম ভালো পাওয়ায় এ বছর বেশি জমিতে আলু চাষ হয়েছে। মৌসুমের শুরু হাট বাজারে নতুন আলুর চাহিদা থাকায় ক্ষেত থেকেই ব্যবসায়িরা আলু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া আলু উত্তোলনের পর ঢাকা কারওয়ান বাজারসহ জেলার বিভিন্ন আড়তগুলোতে বিক্রি করা হয়। লাভজনক হওয়ায় আলু চাষের প্রতি দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের।
মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলার সাটুরিয়া, সিংগাইর, ঘিওর, হরিরামপুর, সদর, শিবালয়সহ সাত উপজেলায় ১৯০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনেক ভাল থাকায় উৎপাদনও ভালো হয়েছে। ভালো ফলনের জন্য জমিতে এলগা মূলটা, বার্ডিনাল, মালতা, গ্যানোলা ও পোট্রোনাছ, বিনেলা জাতের আলু রোপণ করা হয়।
ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া গ্রামের আলু চাষি মো. মতিউর রহমান জানান, গত বছর ২বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছিলাম। তবে এ বছর আমি ৩ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। আমার তিন বিঘায় প্রায় ৮০ মন আলু উৎপাদন হয়েছে। নতুন আলুর চাহিদা থাকায় ক্ষেত থেকেই ১০ টাকা কেজি দরে আলু পাইকারি বিক্রি করে দিয়েছি। হাট বাজারে নিতে হয়নি। এ ছাড়া আলুর সাথে মিষ্টি কুমড়া গাছ লাগিয়ে ছিলাম।
সেমিষ্টি কুমড়া গাছে ফুল এসেছে। আলু উঠানোর পর এখন মিষ্টি কুমড়া বিক্রি শুরু হবে। তিনি আরো জানান, আলু বিক্রি করে উৎপাদন খরচ উঠবে আর মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করে কিছু লাভের মুখ দেখতে পারব। সদর উপজেলার মিতরা বাজারের খুচরা আলু ব্যবসায়ি আহম্মদ মিয়া জানান, নতুন আলু ১৩/১৫ টাকা কেজি দরে খুচরা বিক্রি করা হচ্ছে। আলুর আকার বড় ও সুন্দর হওয়ায় বিক্রি করে সুবিধা পাচ্ছি। প্রতিদিন আলুর দাম বাড়তে শুরু করেছে। এখন বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।
কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল কাদের জানান, গত বছরের চেয়ে এ বছর আবাদ বেশি হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। দিন দিন আলু চাষের প্রতি স্থানীয় কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে।
সান নিউজ/এসআর/এনকে