নিজস্ব প্রতিনিধি, গাইবান্ধা : গাইবান্ধার তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র বিভিন্ন চর এখন মিষ্টি কুমড়ায় সয়লাব। তবে, ভালো ফলনের পরও হাসি নেই কৃষকের মুখে।
গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি, সাঘাটা উপজেলার ব্রহ্মপুত্র ও সুন্দরগঞ্জের তিস্তার চরে বালু মাটিতে নানা জাতের মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছেন কৃষক। বালুময় শুকনো প্রান্তরে সবুজ গাছ আর হলুদ ফুলের নিচে রাশি রাশি কুমড়া। ভাল ফলন, তবুও হাসি নেই কৃষকের মুখে। কিন্তু, শীত মৌসুমে নদী শুকিয়ে যাওয়ায় সহজে ফলন বাজারজাত করতে পারছে না কৃষক। বেহাল যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রত্যাশা অনুযায়ী মিলছে না দাম।
প্রতি বিঘায় উৎপাদনে খরচ ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা। ফলন ভালো হলে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও তা পাচ্ছে না কৃষক। ফলন ভালো হলেও চরাঞ্চলে অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে ব্যাহত হচ্ছে মিষ্টি কুমড়ার বাজারজাতকরণ গুণতে হচ্ছে লোকসান বলছেন কৃষকরা।
যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতকরণ এবং ফসল বাজারজাত সহজ করতে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান।
শিগগিরই পরিবর্তন হবে যোগাযোগ ব্যবস্থার আর মিলবে ফলনের ভালো দাম এমন প্রত্যাশা চরাঞ্চলের চাষিদের।
সান নিউজ/এসএম