নিজস্ব প্রতিনিধি, পিরোজপুর : টানা ৩০ বছর ধরে পিরোজপুর পৌরসভার সংরক্ষিত আসনের (৪, ৫ ও ৬ সাধারণ ওয়ার্ড) মহিলা কাউন্সিলর হিসেবে ছিলেন মিনারা বেগম। এ দীর্ঘ সময় ধরে সাধারণ মানুষের সেবা করেছেন তিনি নাই তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ।
সদ্য শেষ হওয়া দ্বিতীয় দফার পৌর ভোটে প্রার্থী হিসেবে একি পদে দাঁড়ান তিনি, ভোটও পান অনেক। তবে নির্বাচিত হতে পারেননি। অভিযোগ বিজয়ী প্রার্থী অবৈধ টাকা এবং পেশি শক্তি ব্যবহার করে তাকে হারিয়েছেন।
সদ্য সমাপ্ত দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত পিরোজপুর পৌরসভা নির্বাচনে সংরক্ষিত ২ নং ওয়ার্ডে (৪, ৫ ও ৬ সাধারণ ওয়ার্ড) পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী মিনারা বেগম বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে পিরোজপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, এসময় তিনি কেঁদে ফেলেন। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে ৬ বারের পিরোজপুর পৌরসভার কাউন্সিলর ছিলেন তিনি। এ বছরও তিনি পিরোজপুর পৌরসভার ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড থেকে সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন।
লিখিত বক্তব্যে মিনারা অভিযোগ করেন, নির্বাচনে বিজয়ী জবাফুল প্রতীকের প্রার্থী প্রচুর পরিমাণে অবৈধ অর্থ ব্যয় করে পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের ২টি কেন্দ্রে দায়িরত্বরত কর্মকর্তাদের যোগসাজসে অনিয়ম করে তাকে নির্বাচনে পরাজিত করেছেন। এছাড়া ওই কেন্দ্রগুলোতে তার এজেন্টদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দিয়ে তাদেরকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করলেও, কোন প্রতীকার পাননি। এমনকি একটি কেন্দ্র থেকে প্রদানকৃত ফলাফলে প্রিজাইডিং অফিসার স্বাক্ষর করেননি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তার দাবি জনগণ তাকে ঠিকই ভোট দিয়েছেন। তবে প্রচুর অর্থ ও পেশী শক্তির মাধ্যমে তাকে নির্বাচনে পরাজিত করা হয়েছে।
সান নিউজ/কেএস/কেটি