সারাদেশ

দিনাজপুরে বিশেষ পদ্ধতিতে সবজি চাষ, লাভবান কৃষকরা

নিজস্ব প্রতিনিধি, দিনাজপুর : শীতকালীন সবজি চাষের প্রস্তুতি চলছে দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকায়। জমি প্রস্তুতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কৃষকেরা। জেলার বিভিন্ন এলাকায় সবজি চাষ হচ্ছে মাটি ছাড়াই কোকপিটের সাহায্যে ভাসমান পদ্ধতিতে। পরিত্যক্ত জায়গায় বিশেষ পদ্ধতিতে মাটি ছাড়া সবজির চারা উৎপাদন ও বিক্রি করে লাভবান হয়েছেন অনেকে।

মিডিয়া দ্বারা ৬ শতক জমিতে সবজির চারা উৎপন্ন করছেন দিনাজপুর সদরের সুন্দরবন ইউপির রামডুবি গ্রামের নিবারন চন্দ্র দাস। সে উৎপাদন শুরুর দুই মাসের মধ্যেই দেড় লক্ষ টাকার চারা বিক্রি করেছেন। কোকোপিট (নারিকেলের ছোবলার পচানো গুঁড়া) একটি উচ্চ বাফার ক্ষমতাসম্পন্ন জৈব পদার্থ যা মাটির গুণাগুণ বজায় রাখতে বিশেষভাবে সহায়তা করে থাকে।

কোকোপিটের পিএইচ (pH) সবসময় ৫.৫ থেকে ৭ থাকে যা সুস্থ উদ্ভিদ তৈরিতে এবং খুব সহজেই উন্নতমানের গাছপালা তৈরিতে সাহায্য করে। টবে মাটি ব্যবহার করলে ওজন বেশি হয়। কিন্তু কোকোপিট ব্যবহার করলে কম হয়। ছাদের ওপর অনেক টব ব্যবহার করলে লোড ক্যাপাসিটি কম হয়। কোকোপিট দিয়ে যে কোনো প্রকার চারা তৈরি বা গাছ লাগানো যেতে পারে। নির্দিষ্ট কোনো ধরা বাঁধা নিয়ম নেই।

বিশেষ পদ্ধতিতে কোকপিটের সাহায্যে মিডিয়া দ্বারা তৈরী ভাইরাস মুক্ত সবজী চারা তৈরী এবং বিক্রি করা হয়। এই চারা তৈরীতে ট্রে ব্যবহার করা হয়। এতে কোনোভাবেই গাছ বা চারা ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। কোকোপিট উদ্ভিদের শিকড় উন্নয়নের জন্য একটি স্তর এবং গাছ বা চারা রোপণ করার সময় কোনো এজেন্ট প্রয়োজন হলে জৈব সারের সাথে কোকোপিটের সংমিশ্রণে একটি গ্রোয়ার মিডিয়া তৈরি করে সরাসরি চারা তৈরি করা যেতে পারে।

কোকোপিট মাটির তুলনায় অনেক হালকা এবং টবে ব্যবহারের সময় খুব সহজেই কোকোপিটের ভিতর বাতাস চলাচল করতে পারে, যার ফলে গাছ বেশি বেশি অক্সিজেন নিতে পারে। কোকোপিট শোষক সময়কাল অনেক। ফলে এটা গাছে ধীরে ধীরে শোষিত হয়।

বেসরকারী সংস্থা জেবিকা এন্টারপ্রাইজের পরামর্শে দিনাজপুর সদরের রামডুবি গ্রামের রাস্তার পাশে পরিত্যক্ত এক আত্মীয় জায়গায় গত দুই মাস আগে এ পদ্ধতিতে চারা উৎপাদনের কাজ শুরু করি। প্রথমে চারা তৈরির জন্য ৯০০টি ট্রে কোকোপিট (নারিকেলের ছোবলার পচানো গুড়া), নেটসহ উপকরণ ক্রয়সহ সব খরচ পড়েছে এক লাখ ২০হাজার টাকা।

একবারেই এসব ক্রয় করতে হয়েছে। তবে চারা বিক্রির পর কোকোপিট ক্রয় করতে হয়। প্রতিটি ট্রে ৪৬টাকা এবং কোকোপিট ২০টাকা কেজি দরে ক্রয় করতে হয়। একই ট্রে এবং নেট কয়েক বছর চলে যায়, তাই বার বার কিনতে হয় না। এ পর্যন্ত ৫০ জন কৃষক তার কাছে চারা কিনেছেন। এখন বেগুন, লাউ, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, কুমড়াসহ নানা ধরনের সবজির চারা উৎপাদন করা হচ্ছে।

চারাগুলো দেড় টাকা থেকে ২ টাকায় প্রতিটি বিক্রি করা হয়। মৌসুমের আগেই চারা উৎপন্ন করে বিক্রি করা যায়। এতে ভাল দাম পাওয়া যায়। এ পর্যন্ত দেড় লক্ষ টাকার চারা বিক্রি করেছেন। অনেক কৃষক আগাম সবজির চারা কেনার জন্য অর্ডার দিচ্ছে। কৃষকরাও আগাম এসব চারা নিয়ে ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন।

সান নিউজ/এসএ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

পরিবেশ রক্ষায় গাছ কাটা বন্ধে রিট 

নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিবেশ রক্ষায়...

নাতির হাতে বৃদ্ধা খুন, আটক ৩

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মন...

সেনাবাহিনীকে আধুনিক করে তোলা হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শ...

হিট অ্যালার্টের মধ্যেই ঝড়ের আভাস

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২৪ ঘণ্টার ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি...

ফরিদপুরে স্টপেজের দাবিতে মানববন্ধন 

বিভাষ দত্ত, ফরিদপুর: ফরিদপুরে রেল...

ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যায় নিহত ৭৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য রিও গ্রান...

হামাসের হামলায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে চলমান যুদ্ধের মধ্যে...

টিভিতে আজকের খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক: প্রতিদিনের মতো আজ সোমবার (৬ মে) বেশ কিছু খেল...

কেমব্রিজ পরীক্ষায় ডিপিএস শিক্ষার্থীদের সাফল্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি প্রকাশ...

ফরিদপুরে স্টপেজের দাবিতে মানববন্ধন 

বিভাষ দত্ত, ফরিদপুর: ফরিদপুরে রেল...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা