নিজস্ব প্রতিনিধি, নাটোর : নাটোরে সংঘবদ্ধ একটি ছিনতাই চক্র প্রাইভেট কারে যাত্রী হিসেবে তুলে তার সর্বস্ব ছিনিয়ে নিত। এরকম একটি ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং ছিনতাই চক্রের দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেট কারটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এ তথ্য জানান। ছিনাতাইকারীরা হলেন, দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার দিকশোঁও গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে শরিফুল ইসলাম-(৪০) এবং চাঁদপুর জেলার হাইমচর থানার উত্তরপাড়া (বগুড়াপাড়া) এলাকার আজিজুল হকের ছেলে বাদশা মিয়া দেওয়ান (৪৮)।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা আরো জানান, গুরুদাসপুর উপজেলার খাকড়া দাহ গ্রামের অধিবাসী এবং গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম গত ১৭ সেপ্টেম্বর ছিনতাইয়ের শিকার হন। ছিনতাইকারীরা তাকে দাশুরিয়া থেকে যাত্রী হিসেবে প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে মারধর করে নগদ ২৯ হাজার টাকা এবং ব্যাংকের একটি এটিএম কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে ২৯ হাজার টাকা উঠিয়ে নেয়। এরপর তাকে জিম্মি করে বিকাশের মাধ্যমে আরো বিশ হাজার টাকা দিতে বাধ্য করে। পরে বনপাড়া ডিগ্রী মহিলা কলেজের সামনে জাহিদুলকে ফেলে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে এটিএম বুথের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গত ২ নভেম্বর ঢাকার গুলিস্থান এলাকা থেকে শরিফুল ইসলাম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে ও সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্সের পাশ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেট কারটি উদ্ধার করা করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সাভার থেকে বাদশা মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, ছিনতাইকারীরা একটি সংঘবদ্ধ অপরাদী চক্র। প্রতি বৃহস্পতিবার একত্রিত হয়ে তারা একজন করে যাত্রী তুলে ছিনতাই কাজ চালিয়ে আসছিল। প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক যুবায়ের সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সান নিউজ/এআই/এনকে/এস