ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় নিখোঁজের দুই ঘণ্টা পর গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় জায়ান মোল্লা (৭) নামে এক শিশু শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এটি একটি হত্যাকাণ্ড দাবি করেছে শিশুটির পরিবার।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ৩টার দিকে শিশুটির বাড়ি সংলগ্ন কিছুটা দূরের একটি বাগান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। জায়ান আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামের গ্রীস প্রবাসী পলাশ মোল্লার ছেলে। সে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনে শিশু শ্রেণিতে পড়তো।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্কুল থেকে বাড়িতে ফেরার পর জায়ান নিখোঁজ হয়। পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। প্রায় দুই ঘণ্টা পর বাড়ির অদূরে একটি বাগানে গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় শিশুটিকে দেখতে পান এলাকাবাসী। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। শিশুটির পরিবারের দাবি—তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত জায়ানের মা সিনথিয়া বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমার ছেলে স্কুল থেকে ফিরে তেঁতুল কুড়াতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে স্থানীয় চান খাঁর বাগানে গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় পাই। কত নিষ্ঠুরভাবে আমার বাবাকে মেরে ফেলেছে! তার পরনের প্যান্ট দিয়ে মুখ বেঁধে হত্যা করা হয়েছে। আমি হত্যাকারীর ফাঁসি চাই।”
বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজালাল আলম বলেন, “শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ঘটনাটি সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”
সাননিউজ/আরপি