বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে শহরের লেকেরপাড়ে এই বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়।
এ সময় গোপালগঞ্জে এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। দ্রুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই পদক্ষেপ না নিলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেন তারা।
জানা যায়, সারাদেশে পথযাত্রার অংশ হিসেবে বুধবার দুপুরে গোপালগঞ্জ থেকে মাদারীপুরে রওয়ানা দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির(এনসিপি) শীর্ষ নেতারা। পরে তাদের ওপর হামলা চালায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এর পরপরই এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমন উপলক্ষে মাদারীপুরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
জাতীয় নাগরিক পার্টির(এনসিপি) শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, ডা: তাসনিম জারা, উত্তরাঞ্চলের সংগঠক মেহেরাব সিফাতসহ অনেকেরই মাদারীপুরে আসার কথা রয়েছে। শহরের স্বাধীনতা অঙ্গনে আয়েজিত সমাবেশে তারা বক্তব্যও রাখবেন বলে জানা গেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাদারীপুরের সদস্য সচিব মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘পরিকল্পতিভাবে গোপালগঞ্জে এই হামলা চালানো হয়েছে। যাতে মাদারীপরে অনুষ্ঠান পন্ড হয়ে যায়। কিন্তু মাদারীপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা অনুষ্ঠান সার্থক করতে প্রস্তুত। কোনো হামলার ভয় তারা পায় না। গোপালগঞ্জে যারা হামলা চালিয়েছে তারা চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে সারাদেশে একযোগে আন্দোলন করা হবে।’
প্রসঙ্গত, পূর্ব ঘোষিত অনুষ্ঠান হিসেবে মাদারীপুরে দুপুর ৩টায় উপস্থিত থাকার ছিল এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের। গোপালগঞ্জে হামলার ঘটনায় মাদারীপুরে অনুষ্ঠানের সময় পরিবর্তণ করা হয়েছে।