মাহবুব চৌধুরী, (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : শত বছর ধরে গ্রামবাসীর চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সরকারি খাস জমিতে পুকুর খনন করায় চলাচল করতে পারছেন না প্রায় শতাধীক পরিবারের সদস্যরা। উপজেলার মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়নের হামকুড়িয়া খান পাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ২ যুবকের লাশ উদ্ধার
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে উপজেলার হামকুরিয়া গ্রামে প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা মো. মহরম আলী প্রামাণিকের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী ওই গ্রামের নারী-পুরুষ মানববন্ধন ও সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।
গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রভাব খাটিয়ে ভূমিহীন না হয়েও সরকারি খাস সম্পত্তি বন্দোবস্তর নিয়ে পুকুর খনন করেন। যে কারণে খানপাড়ার শতাধীক পরিবার চলাচলের রাস্তা না পেয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগী মো. তছলিম উদ্দিন, রাহাত আলী, ফরিদ হোসেন বলেন, মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়ন আওয়ামীগের আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ মো. নজরুল মোল্লার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ নেতা মহরম আলী প্রমাণিক, তার স্ত্রী রুবিনা খাতুন এবং তার ছোট ভাই মো. আউয়াল হোসেন প্রামণিক ভূমি অফিসকে যোগসাজসে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১নং খাস খতিয়ান এর ভূমি ৬৯ শতাংশ জায়গা বন্দোবস্ত নেন। পরে ওই জায়গায়র উপর দিয়ে শতবর্শী পুরাতন রাস্তা কেটে পুকুর খনন করেন তিনি। এ সময় পুকুর খননে বাধা দিলে মহরম আলী অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও প্রাণনাশের হুমকি দেন। এর আগে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন প্রতিকার পাননি।
ভুক্তভোগী মোছা. আদরী খাতুন বলেন, তারা নিজ বাড়ি হতে বের হয়ে রাস্তায় উঠতে পারছেন না। অন্যের বাড়ির ভিতর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এ কারণে চরম ভোগান্তির মধ্য দিয়ে তাদের জীবনযাত্রা অতিবাহিত হচ্ছে। অনতি বিলম্বে বন্দোবস্তকৃত দলিল বাতিল পূর্বক খাস জায়গা উদ্ধার করে জনগণের চলাচলের রাস্তা নির্মানের জন্য সরকার ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আরও পড়ুন: শ্রমিকবাহী বাস খাদে, নিহত ১
দখলের বিষয় জানতে মহরম প্রামাণিকের স্ত্রী রবিনা খাতুন বলেন, আমরা ভূমিহীন। সরকারের নিকট থেকে বন্দোবস্ত নিয়ে ভোগ দখল করছি।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) খালিদ হাসান জানান, মাগুরাবিনোদ ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রতিবেদনে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়ন ভুমি অফিসের নায়েব ও তদন্ত কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম খান বলেন, আমার কাছে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমাদিতে বলেছে। আমি সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করেছি দুই একদিনের মধ্যে তদন্ত প্রদিবেদন জমা দিয়ে দেবো।
তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ আসলাম হোসেন বলেন, আমি যোগদানের পর কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। তবে আইনশৃংখলা রক্ষায় আমি ঐ জায়গার বিষয়ে খোজ খবর নেবো। যাতে সেখানে কোন প্রকার আইনশৃংখলার অবনতি না হয়।
সান নিউজ/এএন
 
                                     
                                 
                                         
                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                     
                            