এস এম সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট: “শেখ হাসিনা বারতা নারী-পুরুষ সমতা” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাগেরহাটের শরণখোলায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন, আলোচনা সভা ও জয়িতাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: গৃহবধুকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ২
এ সময় বাগেরহাটের শরণখোলায় শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচিত শামিম আরা বাদলকে আনুষ্ঠানিকভাবে সনদপত্র ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন আকন শান্ত।
উপজেলা প্রশাসনের আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো. আ. হাই। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার, শরণখোলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বাবুল দাস, শ্রেষ্ঠ জয়িতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক উষান আরা বাদলের মা শামিম আরা বাদল ও হালিমা খাতুন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে স্থানান্তর
বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৪ জন সফল নারীকে উপজেলার শ্রেষ্ঠ জয়ীতার পুরস্কার প্রদান করা হয়।
তাদের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ মনিরুজ্জামান বাদলের সহধর্মিনী এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাগেরহাট-৪ আসনের নৌকার মনোনীত প্রার্থী এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগের শাশুড়ি শামীম আরা বাদল।
এছাড়া শ্রেষ্ঠ জননী কোটায় উপজেলা সদরের আরকেডিএস পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মিসেস হালিমা খাতুন, সমাজসেবক কোটায় বারবার নির্বাচিত রায়েন্দা ইউপির সংরক্ষিত আসনের সদস্য আকলিমা বেগম, নারী উদ্যোক্তা কোটায় মিসেস ফয়জুন্নেছা বেলী জেলায় এ পুরষ্কার পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: একদিনে ৫ জনের করোনা শনাক্ত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার এ্যসোসিয়েশনের নির্বাচিত প্রতিনিধি ও কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিয়ান এ্যাসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জয়িতা শামিম আরা বাদল বলেন, আমার হাতের মেহেদী শুকায়নি, তখন আমি বিধবা হয়েছি।
তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে শান্তনা দিয়ে বলেছিলেন, আগে পড়াশোনা শেষ করো। তারপর চাকরি করবে। তখন আমি বলেছিলাম, আগে আমার চাকরি দরকার, তারপর সুযোগ পেলে পড়াশোনা করব। চাকরি করেছি, পাশাপাশি পড়াশোনাও করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডাবল মাস্টার্স করেছি।
আরও পড়ুন: ১৮ ডিসেম্বর আ’লীগের বিজয় র্যালি
এ কারণে আমার একমাত্র কন্যা উষান আরা বাদলকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলেছি। যার সুফল হিসেবে উষান আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। মেয়ের আলোতে আমি আজ আলোকিত হয়েছি। আমার স্বামী বেচে থাকলে আরও ভালো লাগত।
তিনি আরও বলেন, পরিশ্রম মানুষকে আলোকিত হওয়ার পথ তৈরি করে দেয়। একজন পুরুষ যদি একটি সংসার চালাতে পারে, আমি কেন আমার সন্তানকে মানুষ করতে পারব না?
এজন্য পরিশ্রম করতে হবে। আমার পরিশ্রমের সুফল শ্রেষ্ঠ জয়িতার পুরষ্কার। আমাকে এ পুরষ্কার দেয়ায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সান নিউজ/এনজে
 
                                     
                                 
                                         
                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                     
                            