জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি: সরকার দেশের নাগরিকদের পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আনতে বহুল প্রতীক্ষিত সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি (স্কিম) চালু করেছে। গত বৃহস্পতিবার স্কিম উদ্বোধনের পর থেকে ব্যাপক সাড়া মিলছে।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাত পর্যন্ত সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ১ম কিস্তির টাকা জমা দিয়ে ২ হাজার ৯৫০ জন নিবন্ধন করেছেন। জানা যায় সাধারণ নিবন্ধনের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ইসলামী ব্যাংকের শ্রদ্ধা
আজ শনিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (নিয়ন্ত্রণ) বিলকিস জাহান রিমি জানান, নিবন্ধন উৎসাহব্যঞ্জক। শুধু রেজিস্ট্রেশন করেছেন কিন্তু টাকা জমা দেননি সেই হিসাবটা আমরা করতে চাইছি না। টাকা জমা দিয়ে যারা নিবন্ধন নিয়েছেন, সেই সংখ্যাটা বিবেচনায় রাখছি।
তিনি জানান, গতকাল রাত পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৯৫০ জন ব্যক্তি বিভিন্ন স্কিমে টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধন নিয়েছেন। আজকের তথ্য এখনও নেওয়া হয়নি। অনেকেই ওয়েবসাইটে আগ্রহ নিয়ে প্রবেশ করছেন। আমরা যেহেতু নিশ্চিত নই তারা স্কিম গ্রহণ করবেন কি না, তাই ঐ সংখ্যাটা ধরছি না।
উদ্বোধনের দিন ১৭ আগস্ট বিকেল ৫টা পর্যন্ত সর্বজনীন পেনশন স্কিমের জন্য প্রায় ৬ হাজার ১০০ জন সাইন আপ করেছিলেন। এদের মধ্যে ৪৬৩ জন তাদের ১ম কিস্তির টাকা জমাও করেছেন।
আরও পড়ুন: বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুল প্রতীক্ষিত সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি (স্কিম) বৃহস্পতিবার সকালে উদ্বোধন করেন। এরপরই সবার জন্য সার্বজনীন পেনশন কর্মসূচি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের পর জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট www.upension.gov.bd চালু করা হয় এবং ৪টি স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম ও মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস, ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড ও ব্যাংকে টাকা নেওয়া শুরু হয়। সিস্টেম চালু হবার পর থেকে দেশে ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছ থেকে বেশ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংকের আলোচনা সভা
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের জারি করা সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা অনুযায়ী, এই কর্মসূচিতে যুক্ত হলে ৬০ বছর বয়সের পর থেকে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন গ্রাহকরা। চাঁদা পরিশোধের পর গ্রাহক মারা গেলে ১৫ বছর তার নমিনি বা উত্তরাধিকারী পেনশন পাবেন ।
আপাতত ৪ ধরনের স্কিম সর্বজনীন পেনশনের আওতায় চালু করা হয়েছে। প্রবাসীদের জন্য প্রবাস স্কিম, বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য প্রগতি স্কিম, অনানুষ্ঠানিক খাত অর্থাৎ স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য সুরক্ষা স্কিম এবং নিম্নআয়ের মানুষের জন্য রয়েছে সমতা স্কিম।
পরবর্তীতে শ্রমজীবী ও শিক্ষার্থীদের জন্য আরও ২ ধরনের সেবা চালু করা হতে পারে বলে জানা যায়।
সান নিউজ/এএ