সান নিউজ ডেস্ক : ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই। দুটি ওয়্যার হাউজে সর্বসাকুল্যে আনুমানিক ২৫ কোটি টাকার মালামাল রয়েছে। এ অবস্থায় বিনিয়োগকারী আনতে না পারলে পাওনাদারদের অর্থ পরিশোধ সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: জঙ্গিবাদ দমন দেশের ঈর্ষণীয় সাফল্য
শুক্রবার (১ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ইভ্যালির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান উচ্চ আদালতের নিয়োগপ্রাপ্ত ইভ্যালির চেয়ারম্যান বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
তিনি বলেন, ঢাকার সাভারে প্রতিষ্ঠানটির দুটি ওয়্যার হাউজ অবস্থিত। যাতে সর্বসাকুল্যে আনুমানিক ২৫ কোটি টাকার পণ্য রয়েছে। এছাড়া নয়টি ছোট পুরাতন কাভার্ডভ্যান ও ৫টা গাড়ি পেয়েছি। এসব পাওনাদারদের টাকার তুলনায় কিছুই না।
তিনি আরও বলেন, ইভ্যালির দুই ধরনের পাওনাদার রয়েছে। যারা সাপ্লাইয়ার আর যারা ক্লায়েন্ট। এখানে সাপ্লায়ারদের পাওনা বেশি। ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও তার স্ত্রী ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন বিনিয়োগকারী আনতে পারবেন বলে উচ্চ আদালতে একটি আর্জি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাইডেনের ক্ষমতা কমালো সুপ্রিম কোর্ট
তারা যদি বিনিয়োগকারী আনতে পারে তবেই কোম্পানি চলবে, পাওনাদাররাও টাকা পাবে। এটা নির্ভর করছে তারা বিনিয়োগকারী আনতে পারবেন কি-না।
চলতি জুলাই মাসের শেষে ইভ্যালির বর্তমান আর্থিক অবস্থা পর্যালোচনা করে দায়-দেনা ও সম্পদের নিরীক্ষা প্রতিবেদন (অডিট রিপোর্ট) তৈরি করে আদালতে উপস্থাপন করা হবে বলেও জানান তিনি।
বিচারপতি মানিক বলেন, হাইকোর্ট অডিট রিপোর্টের জন্য আমাদের নিয়োগ দিয়েছে। অডিট রিপোর্ট পাওয়ার পর আমরা হাইকোর্টে সাবমিট করবো। তারপর হাইকোর্ট এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
আরও পড়ুন: প্যারোলে মুক্ত হাজী সেলিম
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মো. শামীম আজিজ, এফসিএ অ্যান্ড এফসিএমএ- এর সাবেক চিপ চার্টার্ট একাউন্টেন্ট ফখরুদ্দিন আহমেদ।
প্রসঙ্গত, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে এক গ্রাহক গুলশান থানায় আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি সিইও মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরদিন বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব।
সান নিউজ/এফএ