সান নিউজ ডেস্ক : অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে গত ছয় বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো চিনি রপ্তানি সীমিত করার পরিকল্পনা করছে ভারত।
আরও পড়ুন : ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বােধন
মঙ্গলবার (২৪ মে) ভারতের সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, দেশটি চলতি মৌসুমে চিনির রপ্তানি ১০ মিলিয়ন টনে সীমাবদ্ধ করতে পারে। বিশ্বের বৃহত্তম চিনি উৎপাদনকারী দেশ ভারত। ব্রাজিলের পরে চিনির দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশটি।
গত মার্চে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, স্থানীয় বাজারে মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে এবং অভ্যন্তরীণ বাজারে স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করতে চিনি রপ্তানির লাগাম টানার পরিকল্পনা করছে ভারত।
অন্যদিকে, ব্রাজিলে চিনির উৎপাদন কম হওয়ার পাশাপাশি জ্বালানি তেলের দাম বেশি হওয়ায় দেশটিতে আখ-ভিত্তিক ইথানল উৎপাদনের পরিমাণ বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বিশ্বব্যাপী খাদ্য মূল্যের ওপর।
আরও পড়ুন : নির্বাচনকে প্রহসনে রূপান্তর করার ইচ্ছে নেই
প্রাথমিকভাবে ভারত ৮ মিলিয়ন টনে চিনি রপ্তানি সীমাবদ্ধ করার পরিকল্পনা করে। কিন্তু, পরবর্তীতে দেশটির সরকার আরও ২ মিলিয়ন টন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
ভারতের চিনি উৎপাদনকারী ইন্ডিয়ান সুগার মিলস অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, তাদের এবারের উৎপাদন হতে পারে ৩৫.৫ মিলিয়ন টন; যা তাদের আগের অনুমান (৩১ মিলিয়ন টন) থেকে বেশি।
আরও পড়ুন : নির্বাচনকে প্রহসনে রূপান্তর করার ইচ্ছে নেই
চলতি ২০২১-২২ সালে ভারতীয় চিনিকলগুলো সরকারি ভর্তুকি ছাড়াই ৮.৫ মিলিয়ন টন চিনি রপ্তানির চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তিবদ্ধ ৮.৫ মিলিয়ন টন। ইতোমধ্যেই প্রায় ৭.১ মিলিয়ন টন চিনি রপ্তানি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দেশটির নেতৃস্থানীয় চিনি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বলরামপুর চিনি, ডালমিয়া ভারত সুগার, ধামপুর সুগার মিলস, দ্বারিকেশ সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ এবং শ্রী রেনুকা সুগার এর ৮ শতাংশের মতো কমেছে।
আরও পড়ুন : আসামে ভয়াবহ বন্যায় নিহত ২৫
তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিলগুলোকে ১০ মিলিয়ন টন রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভারতকে বিশ্ববাজারে বেশি পরিমাণে চিনি বিক্রি করতে সহায়তা করবে।
মুম্বাই-ভিত্তিক একজন ডিলার বলেন, "১০ মিলিয়ন টন চিনি রপ্তানিতে মিল এবং সরকার উভয়ই সন্তুষ্ট থাকবে।"
সান নিউজ/এফএ/এইচএন