নিজস্ব প্রতিবেদন: সরকার আলু রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে বছরে এক কোটি টনেরও বেশি আলু উৎপাদন হয়। এরপরও বিদেশ থেকে চড়া দামে আলুর চিপস, প্রিঙ্গলস আমদানি হচ্ছে। দেশে আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ ও ভ্যালু আ্যাডে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোকে মানসম্পন্ন চিপস, প্রিঙ্গলস, ফ্রেঞ্চফ্রাই তৈরির আহ্বান জানান তিনি।
রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে কৃষি গবেষণা কাউন্সিল-বিএআরসি মিলনায়তনে আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।
মন্ত্রী বলেন, আলুর ভালো জাতের অভাব এতদিন আলু রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বড় বাধা ছিল। এরইমধ্যে বিদেশ থেকে অনেকগুলো উন্নত জাত আনা হয়েছে। এছাড়া আলুর জাত অবমুক্তিতে আগে নিবন্ধন লাগতো, সেটিকে উন্মুক্ত করেছি। ফলে প্রাইভেট সেক্টরও আলুর কিছু উন্নত জাত নিয়ে এসেছে।
ড. রাজ্জাক বলেন, অন্য আরেকটি প্রতিবন্ধকতা হলো নিরাপদ ও রোগমুক্ত আলুর উৎপাদনের নিশ্চয়তা প্রদান। এ লক্ষ্যে এরইমধ্যে উত্তম কৃষি চর্চা নীতিমালা (জিএপি) প্রণীত হয়েছে। টেস্টিং সুবিধা বাড়ানোর জন্য ঢাকার শ্যামপুরে একটি ল্যাব নির্মিত হয়েছে; এটির আধুনিকায়ন চলছে। পূর্বাচলে আরেকটি আধুনিক ল্যাব নির্মিত হবে।
সাননিউজ/এমআর