সান নিউজ ডেস্ক : কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন কন্টেট ক্রিয়েটর চ্যাটজিপিটির পুরো নাম- 'জেনারেটিভ প্রি-ট্রেইনড ট্রান্সফরমার'। ২০২২ সালের নভেম্বরে মার্কিন গবেষণা ল্যাবরেটরি ওপেন এআই এই চ্যাটবটটি তৈরি করেছে, যা প্রশ্ন করার সাথে সাথে মানুষের মতো উত্তর দিতে পারে।
আরও পড়ুন: নারীরা সব ক্ষেত্রে খুব ভালো করছে
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) জার্মান সংবাদমাধ্যম হ্যান্ডেলসব্লাটকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এক সময়ের শীর্ষ ধনী বিল গেটস বলেন, বিশ্বকে বদলে দেবে চ্যাটজিপিটি।
মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আরও জানান, ‘আগের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাগুলো সব বিষয়ে লিখতে ও পড়তে পারতো। কিন্তু বিষয়বস্তু বুঝতো না।
চ্যাটজিপিটি নতুন প্রোগ্রামগুলো চালানো বা চিঠি লিখতে সাহায্য করবে। এতে অনেক অফিসের কাজ আরও সুনিপুণ হবে। শ্রম ও সময় বাঁচবে।
তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে, এর মাধ্যমে মানুষের চাকরীর বাজার সঙ্কুচিত হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প নিহত বেড়ে ২৪ হাজার ছুঁই ছুঁই
চ্যাটজিপিটি যেকোনো বিষয়ে লিখতে, উত্তর দিতে, কথোপকথন চালাতে, জটিল বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা দিতে, সাবলীল অনুবাদ করতে পারে। এছাড়া যেকোনো ভুল ধরিয়েও দিতে পারে এটি।
এছাড়া কনটেন্ট রাইটিং ও প্রোগ্রামিং থেকে শুরু করে প্রোডাক্ট ডিজাইন, ডেটা এ্যানালাইসিসসহ প্রায় প্রতিটি ডিজিটাল ক্ষেত্রেই প্রভাব ফেলেছে এই চ্যাটবটটি।
ইতিমধ্যেই চ্যাটজিপিটির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর চ্যাটবট 'বার্ড' আনার ঘোষণা দিয়েছে গুগল। এদিকেবিংয়ের নতুন সংস্করণে চ্যাটজিপিটি সমৃদ্ধ হয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের তুলনায় আসন বেশি
প্রসঙ্গত, মাইক্রোসফ্ট দ্বারা সমর্থিত এই চ্যাটবটটি ইতিহাসে দ্রুততম বর্ধনশীল গ্রাহক অ্যাপ হিসেবে রেট করা হয়েছে।
সান নিউজ/এনজে/এসআই