ক্রীড়া ডেস্ক: ১৮৯৪ সালের ২৩ জুন। বিশেষ এই দিনটিতে প্রতিষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)। প্রতি বছরের মতো এবার আর সেভাবে দিনটি পালন করা হচ্ছে না। করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে সীমিত পরিসরে পালন হচ্ছে সব দেশেই।
১৯৭৮ সালে আইওসি প্রতিটি দেশের এনওসিকে প্রথমবারের মতো সুপারিশ করেছেন অলিম্পিক উদযাপন এবং অলিম্পিক আন্দোলন তুলে ধরার জন্য। ২০০৯ সালের ২৩ জুন থেকে অলিম্পিক দিবসে প্রতিটি দেশের এনওসি অন্যান্য কার্যক্রমের সঙ্গে ‘ডে’ রানের আয়োজন করছে। বাংলাদেশ এনওসি এর ব্যতিক্রম নয়।
১২৭ বছর আগে ১৮৯৪ সালে ফ্রান্সের সরবোনের গ্র্যান্ড অ্যাম্ফিথিয়েটারে অ্যামেচার স্পোর্টস নীতি নির্ধারণের জন্য আয়োজিত হয় সাধারণ কংগ্রেস। সেখানে ফ্রান্সের শিক্ষাবিদ, মানবদরদি মনীষী ব্যারন পিয়েরে দ্য কুবারতিন ৪৯টি দেশ থেকে আগত ৭৯ জন বিভিন্ন খেলার প্রতিনিধি এবং দুই হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে অলিম্পিক গেমস পুনরুদ্ধারের বিষয়ে তার প্রস্তাবে বলেন, অপেশাদার এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা প্রাচীন অলিম্পিক প্রান্তরের আদর্শ ও নীতির অনুকরণে অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রতিযোগিতা কোনো এক জাতির মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
প্রাচীন অলিম্পিক গেমসকে একটি রেনেসাঁ হিসেবে ধরে প্রতিযোগিতামূলক খেলাধুলাকে এগিয়ে নিতে প্রতিবছর নানা কর্মকাণ্ড এবং সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে পালিত হয় দিবসটি। যা বিশ্ব অলিম্পিক দিবস হিসেবে খ্যাত।
অলিম্পিকের ধারণা প্রচার করার উদ্দেশ্যে ১৯৪৭ সালে স্টকহোমে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি আইওসি'র ৪১তম অধিবেশনে বিশ্ব অলিম্পিক দিবস পালনের প্রস্তাব রাখা হয়। পরের বছর আইওসি অধিবেশনে গিয়ে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়।
একসময় অলিম্পিকের ভবিষ্যতের কথা ভেবে বলা হয়েছিল—‘সীমাবদ্ধতার সব দরজা খুলে দাও’। এই স্লোগানের পেছনে যুক্তি ছিল। কুবারতিনের আদর্শ, নীতি ও দর্শনেও পরিবর্তন আনতে হয়েছে সময় ও অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে। এতে কিন্তু উদ্দেশ্য ম্লান হয়নি।
১৮৯৬ সালের এ দিনে প্রথমবারের মতো শুরু হয় আধুনিক অলিম্পিক গেমস। ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত এই ক্রীড়া উৎসব সময়ের হাত ধরে বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধ ক্রীড়া উৎসবে পরিণত হয়েছে অলিম্পিক।
সান নিউজ/এমএম