নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর তেজগাঁওয়ের স্থপতি ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূঁইয়াকে (৪৭) হত্যার ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জনযুদ্ধ দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি
সোমবার (২৭ মাচ) দুপুরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার গোলাম সবুর এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, রোববার (২৬ মার্চ) দিবাগত রাতে ঢাকাসহ আশপাশের জেলা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। স্থপতি ইমতিয়াজ হত্যার ঘটনায় জড়িত আরও কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র টাকা হাতিয়ে নিতে ইমতিয়াজকে অপহরণ করে। পরে টাকা না পেয়ে তাকে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: ভিজিট নিয়ে রোগী দেখবেন চিকিৎসকরা
প্রসঙ্গত, ইমতিয়াজ ঢাকার তেজগাঁও থানা এলাকার মোহাম্মদ হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বাড়ির নকশার কাজ করতেন। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।
স্থপতি ইমতিয়াজ তেজগাঁও থানার ডমিসাইল এলাকায় নিজের ফ্ল্যাটে সপরিবারে বসবাস করতেন। গত ৭ মার্চ বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন তিনি।
পরদিন তার স্ত্রী ফাহমিদা আক্তার কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এর পরদিন সন্ধ্যায় মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের চিত্রকোট কামারকান্দা সেতু এলাকা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ৯ মার্চ পুলিশ মরদেহ আঞ্জুমান মুফিদুলে হস্তান্তর করে। তবে পরিবার তা জানতে পারেনি। একটি বেসরকারি টেলিভিশনে ইমতিয়াজ নিখোঁজের বিষয়ে প্রতিবেদন সম্প্রচারিত হলে ১০ দিন পর পরিবার জানতে পারে, ইমতিয়াজ মোহাম্মদ খুন হয়েছেন।
সিরাজদিখানে যে ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার হয়েছে, তা ইমতিয়াজের। পরে আদালতের অনুমতিতে ওই মরদেহ উদ্ধার করে শনাক্ত করেছেন ইমতিয়াজের স্বজনেরা।
সান নিউজ/এনকে