তানভীর আহমেদ, গাজীপুর : বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনিষ্টিটিউট; গাজীপুরে গড়ে তোলা হয়েছে ‘রাইস মিউজিয়াম’। জনসাধারণের সুবিধার্থে এক ছাদের নিচে নতুন পুরাতন ধান ও যন্ত্রপাতি এবং রোগ বালাই প্রদর্শনী করার পরিকল্পনা থেকে স্থাপন করা হয়েছে ব্যতিক্রমী এই যাদুঘর।
আরও পড়ুন : নবজাতকসহ নিহত ৩
পাশাপাশি স্থান পেয়েছে গ্রামগঞ্জের ঐতিহাসিক পিঠাপুলি এবং বিভিন্ন ধরনের আগাছা, পোকা মাকড়ের বিচিত্র নমুনা ।
বাংলাদেশের ধান গবেষণার ইতিহাস ঐতিহ্য এবং খাদ্য নিরাপত্তার সাফল্য দেশি বিদেশি পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে স্থাপন করা হয় দৃষ্টিনন্দন যাদুঘরটি। এখানে গত পাঁচ দশক ধরে দেশে উদ্ভাবিত ধান ও চালের নমুনা এবং ধানভিত্তিক আচাড় অনুষ্ঠান, সংস্কৃতি, গবেষণা ও খাদ্য নিরাপত্তার সাফল্য সুন্দর ও বিভিন্ন কলাকৌশল সুনিপুণ ভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
যেখানে বন্যা খড়া লবনাক্ততা সহিষ্ণু ও শীত প্রধান অঞ্চলের উপযোগী সৌর সুগন্ধি প্রিমিয়াম কোয়ালিটি জিংক সমৃদ্ধসহ ১০১টি ইনব্রীট ও হাইব্রীট মিলিয়ে ১০৮ জাতের ধান উদ্ভাবন পদর্শণ করা হয়েছে। সেগুলোসহ সহস্রাধিক নমুনা দেখে ও জেনে উপকৃত হচ্ছে কৃষি সচেতন মানুষ তথা গোটা দেশ।
আরও পড়ুন : ১৯ সেপ্টেম্বর রানির শেষকৃত্য
প্রসঙ্গত, এটিই বাংলাদেশের একমাত্র ও প্রথম রাইস মিউজিয়াম। যা ২০১৮ সাল থেকে নির্মাণ করা শুরু করে চলতি বছরের ১২ মার্চ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। পরে মার্চ মাস থেকে এটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনিষ্টিটিউডের উর্ধ্বতন যোগাযোগ কর্মকর্তা জনাব মোহাম্মদ মোমিন আহমেদ এবিষয়ে বলেন, আমাদের এখানে দেশী বিদেশী দর্শণার্থীসহ অনেক শিক্ষার্থীরা আসেন তাদের নিকট আমাদের দেশীয় ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি উপস্থাপনের জন্য আমরা এই যাদুঘরটি নির্মাণ করেছি।
সান নিউজ/এইচএন