সান নিউজ ডেস্ক: পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই আরোহী মারা যাওয়ার ঘটনায় সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী কোনো ঘোষণা দেয়ার আগ পর্যন্ত সেতুতে চলতে দেয়া হবে না কোনো মোটরসাইকেল, পার হতে দেয়া হবে না হেঁটেও। তবে নির্দেশনা উপেক্ষা করে বেশ কয়েকজন বাইকার জোর করে সেতু পার হওয়ার চেষ্টা করছেন। এমনকি সেতু পার হতে বিক্ষোভও করেছেন তারা।
আরও পড়ুন: পাল্টে গেছে পদ্মা সেতুর চিত্র
বাইকাররা বলছেন, সেতুতে মোটরসাইকেল বন্ধের নির্দেশনা তারা জানতে না। না জেনে এসে তারা আটকা পড়েছেন। তারমধ্যে ফেরিও বন্ধ। ফলে ওপারে যেতে পারছেন না তারা। তাদের দাবি, আমাদের টাকায় সেতু, আমরা যেতে পারবো না কেন? অনিয়ম করলে শাস্তি দিক, তাই বলে মোটরসাইকেল বন্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক।
পুলিশ বলছে, ফেরি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ফেরি চালুর ব্যবস্থা করেছেন তারা। তাদের জন্য মাওয়া ঘাটে ফেরির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। মূলত তাদের জন্য বিশেষ বিবেচনায় ফেরি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এদিকে পদ্মা সেতুর খুলে দেওয়ার প্রথম দিনে (রোববার) ব্যাপক বিশৃঙ্খলায় দেখা দেয়। নিয়ম ভেঙে সেতুতে ছবি তোলা, টিকটক বানানো, নাটবল্টু খোলা, মূত্র বিসর্জন, টোল প্লাজার ব্যারিয়ার ভাঙন ও মালামাল-যন্ত্রপাতি চুরির মতো নানান ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
সেতুতে এমন বিশৃঙ্খলা দেখে নড়েচড়ে বসে কর্তৃৃপক্ষ। নির্দেশনা দেওয়া হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে চলবে না মোটরসাইকেল।
সেতুতে বিক্ষোভরত বাইকাররা বলছেন, না জেনে বাইক নিয়ে এ রাস্তায় এসে আটকে পড়েছেন তারা। এদিকে ফেরিও বন্ধ ছিল। ফলে কোনোভাবেই ওপারে যেতে পারছিলেন না তারা। তাদের দাবি, কোনো বাইকার অনিয়ম করলে তাকে শাস্তি দেয়া যেতে পারে, তবে মোটরসাইকেল চালানো বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক।
সান নিউজ/এসআই