নিজস্ব প্রতিবেদক: সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ‘খুনি ও যুদ্ধাপরাধী’ আখ্যায়িত করে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেছেন, ‘একজন খুনি, একজন যুদ্ধাপরাধীর প্রতীকী কবর এই সংসদের কাছে থাকতে পারে না। আমরা জানি, এখানে খুনি জিয়ার দেহ নেই। প্রতীকী একটি কবর সাজিয়েছেন তারা। এটি অবশ্যই উচ্ছেদ করতে হবে এবং অবিলম্বে এটি করতে হবে।’
শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) ঢাকায় এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি। ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর ঢাকায় জাপানি বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনায় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে বিদ্রোহের অভিযোগে ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হওয়া সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের স্বজনেরা এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন।
শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘আজ আমরা এখানে জমায়েত হয়েছি তাঁদের সমর্থনে, যাঁরা তাঁদের স্বামী, পিতা, ভাইকে হারিয়েছিলেন। ১৯৭৭ সালের সেই দিনগুলোতে খুনি জিয়াউর রহমান শত শত মুক্তিযোদ্ধাকে বিচারের প্রহসনের নামে হত্যা করেছিলেন। জাপানি এয়ারলাইনসের বিমান হাইজ্যাক হওয়ার পর খুনি জিয়া যেসব মুক্তিযোদ্ধাকে খুন করেছিলেন, বিচারের নাটক সাজিয়েছিলেন, সেটি আইনের কোনো অর্থেই বিচার ছিল না।’
জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচারের দাবি জানিয়ে শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের সবার দাবি, জিয়ার মরণোত্তর বিচারের জন্য আইন করা হোক। আমাদের সংবিধানে এ ধরনের আইন করতে কোনো বাধা নেই। আইন করে শুধু জিয়া নন, অন্য যাঁরা এই ধরনের বেআইনি হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন তাঁদের সবারই বিচার করা হোক। এর মধ্যে একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা আমাদের আইনমন্ত্রী বলেছেন। কালবিলম্ব না করে একটি তদন্ত কমিশন গঠন এবং মরণোত্তর বিচারের জন্য আইন করা হোক।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ‘রাজাকারপুত্র’ আখ্যায়িত করে বিচারপতি মানিক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আবিষ্কার করেছেন, খালেদা জিয়া নাকি মুক্তিযোদ্ধা। এই ধরনের উন্মাদ, এই ধরনের পাগল যাঁরা, এ রকম পাগলামি কথা বলে জাতিকে বিভ্রান্ত করছেন যাঁরা, তাঁদের সরাসরি পাগলা গারদে পাঠিয়ে দেওয়া হোক। তা না হলে জাতি বিভ্রান্ত হবে।’
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁওয়ে এক সভায় মির্জা ফখরুল বলেছেন, ‘১৯৭১ সালে যখন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করলেন, তখন খালেদা জিয়া ক্যান্টনমেন্টের (সেনানিবাস) বাসায় তাঁর দুই শিশুপুত্র তারেক রহমান ও আরাফাত রহমানকে নিয়ে ছিলেন। ওই সময় অষ্টম বেঙ্গলের সেনারা চলে এসে বলেছিলেন, “পাকিস্তানি সেনারা বলছে অস্ত্র সমর্পণ করতে। আমরা অস্ত্র সমর্পণ করব কি না?” তিনি সেদিন বলেছিলেন, “তোমাদের অধিনায়ক মেজর জিয়ার নির্দেশ ছাড়া তোমরা কোনো অস্ত্র সমর্পণ করবে না।” সেই দিন থেকেই এই যুদ্ধ শুরু হয়েছিল।’
তবে বিএনপি মহাসচিবের এই বক্তব্য নাকচ করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে মুক্তিযোদ্ধা করা মানে রাও ফরমান আলী ও নিয়াজীকে মুক্তিযোদ্ধা করা। এই হাস্যকর, এই পাগলামি যাঁরা করছেন, তাঁদের তো এই সমাজে জায়গা থাকতে পারে না।’
সান নিউজ/এমকেএইচ
 
                                     
                                 
                                         
                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                     
                            