নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। সাগর উত্তাল থাকায় দেশের সুমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) আবহাওয়া অফিস বলছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে সাবধানে চলাচল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সাগরে সৃষ্ট শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের নাম 'জাওয়াদ'। এটির ঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নামটি রেখেছে সৌদি আরব। আরবি শব্দ 'জাওয়াদ' এর অর্থ উদার বা করুণাময়।
জাওয়াদ আরও শক্তিশালী হবে। ঘূর্ণিঝড়টি শনিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকাল নাগাদ ভারতের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকাসহ সুন্দরবন, সাতক্ষীরাসহ আশেপাশের এলাকায় তীব্র ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, শেষ পর্যন্ত কোন এলাকা দিয়ে এ ঘূর্ণিঝড় উপকূল অতিক্রম করবে, তার ওপরই নির্ভর করবে বাংলাদেশের ওপর এর প্রভাব কতটা পড়বে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করার জন্যও বলা হয়েছে।
আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। ঝড়ের প্রভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সকালের দিকে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে।
সান নিউজ/এস