নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে এক বছরেই কৃষি মন্ত্রণালয় সাত লাখ টন উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পেরেছে। এ বছর ৩৩ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। করোনাকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে বিশ্বে বাংলাদেশ পেঁয়াজ উৎপাদনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২১ উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের মিলনায়তনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে খাদ্য ঘাটতি ও দাম নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন তিনি।
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা চাল উৎপাদনে চতুর্থ ছিলাম, ইন্দোনেশিয়াকে ছাড়িয়ে এখন তৃতীয় স্থানে এসেছি। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, তারপরও খাদ্য ঘাটতি থাকছে এবং বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না।
তিনি আরও বলেন, ইকোনোমিকসে প্রাইমারি বা বেসিক হলো ডিমান্ড অ্যান্ড সাপ্লাই। যদি ডিমান্ড বেশি হয় এবং সাপ্লাই যদি কম হয়, দাম কিছুটা বাড়বেই। আমরা সিন্ডিকেট বলি আর যাই বলি না কেন, দাম বাড়বেই। আমরা চেষ্টা করি বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য।
কৃষিমন্ত্রী জানান, কাবিখাসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে ১০টাকা কেজির চাল দেওয়া হয়। সেটা কিন্তু অনেকেই বিক্রি করে দেন। ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়ার সময় পাশেই পাইকাররা বসে থাকেন। চাল নিয়ে পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন তাদের অনেকে।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পোলট্রি , মাছ, ডেইরি, প্রাণির খাদ্য উৎপাদনেও একটা বড় অংশ খাদ্যশস্য হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। নন হিউম্যান কনজাম্পশনে কত পরিমাণ খাদ্যশস্য ব্যবহার হচ্ছে তা পরিসংখ্যানে আনা হয় না। এটি একটি অন্যতম কারণ।
পরিসংখ্যানের ঘাটতির বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, পরিসংখ্যান ব্যুরোর সঙ্গে আমাদের কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্যের কিছুটা সমস্যা হয়েছে, এটিও একটি কারণ।
সান নিউজ/এমকেএইচ