আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাজধানীর তেজগাঁওয়ের কারওয়ান বাজার এলাকায় একটি ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে তেজগাঁও থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে জুয়েল, বেগুনবাড়ি থেকে জাহাঙ্গীর ও নোয়াখালী থেকে ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা নুরুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) রাতে তেজগাঁও থানার মেরিন রেস্তোরাঁর সামনে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র কেশব রায় পাপনকে অজ্ঞাতপরিচয় অস্ত্রধারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে অঘাত করে গুরুতর জখম করা হয়। পরে কয়েকজন পথচারী তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাপনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বুধবার (৬ অক্টোবর) তেজগাঁও থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তেজগাঁও থানার ওসি সালাহ উদ্দিন মিয়া জানান, ক্লুলেস পাপন হত্যাকাণ্ডের এই মামলা তদন্তকালে ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। পরে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা, তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়। পরে হাতিরঝিল এলাকা থেকে জুয়েলকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও জানান, নিহত পাপন সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তিনি একটি কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার সংক্রান্ত খণ্ডকালীন চাকরি করতেন। প্রতিদিনের ন্যায় কাজ শেষে মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) রাতে সাইকেলযোগে মনিপুরিপাড়ার বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে তারা ছিনতাইয়ের উদ্দেশে পাপনের পথরোধ করে। কেশব ছিনতাইয়ে বাধা দিলে তার সঙ্গে ছিনতাইকারীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এ সময় ছিনতাইকারীরা পাপনের মোবাইলটি নিয়ে পালিয়ে যেতে চাইলে তিনি ছিনতাইকারী নুরুজ্জামানকে জাপটে ধরেন।
এ সময়ে নুরুজ্জামান ধারালো সুইচ গিয়ার দিয়ে পাপনকে উপর্যুপরি আঘাত করে। এতে শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে ভিকটিম নিস্তেজ হয়ে রাস্তায় পড়েন। কয়েকজন পথচারী মিলে পাপনকে চিকিৎসার জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার আরো অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাপনের মৃত্যু হয়।
সান নিউজ/এমকেএইচ